দিনাজপুর ও মৌলভীবাজারের অবৈধ ইটভাটা ৭ দিনের মধ্যে বন্ধের নির্দেশ
৩১ জানুয়ারি ২০২২ ২৩:৫৫
ঢাকা: দিনাজপুর ও মৌলভীবাজার জেলার অবৈধ সব ইটভাটা সাত দিনের মধ্যে বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এ বিষয়ে দুই সপ্তাহের মধ্যে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া লাইসেন্স ব্যতীত পরিচালিত সব ইটভাটার তালিকা আগামী ছয় সপ্তাহের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে দুই জেলার ডিসিসহ সংশ্লিষ্টদের বলা হয়েছে।
পাশাপাশি লাইসেন্সবিহীন সব ইটভাটা বন্ধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
পরিবেশ সচিব, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি), পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালক (এনফোর্সমেন্ট), দিনাজপুর ও মৌলভীবাজারের ডিসি, এসপি, সব উপজেলার ইউএনও এবং মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ, কুলাউড়া, মৌলভীবাজার সদর, দিনাজপুরের চিরিরবন্দর, পার্বতীপুর ও বিরল থানার ওসিসহ সংশ্লিষ্ট ২৬ জনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
সোমবার (৩১ জানুয়ারি) বিচারপতি জে বি এম হাসান এবং বিচারপতি ফাতেমা নজীবের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ, তাকে সহায়তা করেন আইনজীবী সনজয় মন্ডল এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
পরে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ জানান, ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন (সংশোধিত ২০১৯) অনুসারে কোনো ইটভাটা লাইসেন্স ছাড়া চলতে পারে না এবং চালালে দুই বছরের সাজার বিধান আছে। তারপরও দিনাজপুর ও মৌলভীবাজারে লাইসেন্সবিহীন পরিচালিত সব ইটভাটার বিরুদ্ধে প্রশাসন কোনো কার্যকরী ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
তিনি আরও জানান, বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তার কারণে প্রশাসনের চোখের সামনে লাইসেন্সবিহীন ইটভাটাগুলো পরিচালিত হচ্ছে। যা সম্পূর্ণ অবৈধ এবং পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া হচ্ছে ও বায়ু দূষণের মাধ্যমে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে।
এ বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে জনস্বার্থে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে আইনজীবী মো. ছারওয়ার আহাদ চৌধুরী, একলাছ উদ্দিন ভূইয়া, রিপন বাড়ৈ হাইকোর্টে দুটি রিট দায়ের করেন।
আদালত শুনানি শেষে আজ দিনাজপুর ও মৌলভীবাজার জেলার লাইসেন্সবিহীন সব ইটভাটা সাত দিনের মধ্যে বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে আদালত লাইসেন্স ব্যতীত পরিচালিত সব ইটভাটার তালিকা আগামী ছয় সপ্তাহের মধ্যে আদালতে দাখিলের জন্য দুই জেলার জেলা প্রশাসক, পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন।
সারাবাংলা/কেআইএফ/পিটিএম