মৎস্য অধিদফতরের নিয়োগ বিধিমালা কেন অবৈধ নয়— হাইকোর্টের রুল
১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২০:৪৩
ঢাকা: মৎস্য অধিদফতরের কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালা, ২০২০ প্রণয়ন কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না— তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ও মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালকসহ (ডিজি) সংশ্লিষ্ট পাঁচ জনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১ ফেব্রয়ারি) মৎস্যবিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রিধারী ২১ জনের আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া। তাকে সহযোগিতা করেন মো. মনিরুল ইসলাম রাহুল ও মো. সোহরাওয়ার্দী সাদ্দাম। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।
পরে আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া জানান, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ২০২০ সালের ২৪ মার্চ ‘মৎস্য অধিদফতরের কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালা-২০২০’ প্রণয়ন করে। কিন্তু আইনের তফসিল-১-এর ক্রমিক নম্বর ৭৪, ৭৫, ৭৬, ৭৭, ৭৮, ৭৯, ৮০ ও ৮৫-এ সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রাণিবিদ্যা ও মৎস্য ডিপ্লোমাধারীদের আবেদনের সুযোগ দেওয়া হলেও মৎস্যবিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রিধারীদের আবেদনের কোনো সুযোগ রাখা হয়নি।
গত ২৩ ডিসেম্বর ‘মৎস্য অধিদফতরে কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালা, ২০২০’ অনুযায়ী বাংলাদেশ কর্ম কমিশন প্রকাশিত ১০ম গ্রেডের মৎস্যবিজ্ঞান সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পদের বিপরীতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। সেখানে প্রাণিবিদ্যা ও মৎস্য ডিপ্লোমাধারীদের আবেদনের সুযোগ দেওয়া হলেও মৎস্যবিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রিধারীদের আবেদনের কোনো সুযোগ রাখা হয়নি। সংশ্লিষ্ট বিধি অনুযায়ী ১০ম গ্রেডভুক্ত এমন ১১টি পদে এমন অসামঞ্জস্য নীতি প্রণয়ন করা হয়েছে, যা মৌলিক অধিকারের পরিপন্থি।
এদিকে নিয়োগ নীতিমালা অনুযায়ী ৯ম গ্রেডের ২৫টি পদে মৎস্যবিজ্ঞানে স্নাতকদের পাশাপাশি প্রাণিবিদ্যায় স্নাতকদেরও আবেদনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। আর ১০ম গ্রেডের ক্ষেত্রে প্রাণিবিদ্যায় স্নাতকদের পাশাপাশি মৎস্য ডিপ্লোমাধারীদের আবেদনের সুযোগ দেওয়া হলেও মৎস্যবিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রিধারীদের আবেদনের কোনো সুযোগ রাখা হয়নি।
এরপর সম্প্রতি ‘মৎস্য অধিদফতরে কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালা, ২০২০’ অনুযায়ী তত্ত্বাবধায়ক পরিদর্শক, সহকারী হ্যাচারি কর্মকর্তা, সহকারী সম্প্রসারণ কর্মকর্তা, সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা ও মৎস্য জরিপ কর্মকর্তা পদের বিপরীতে মোট ২০১টি শূন্য পদের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়।
বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মৎস্যবিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রিধারী ২১ জন চাকরিপ্রার্থী ‘মৎস্য অধিদফতরে কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালা-২০২০’ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। ওই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত আজ রুল জারি করেছেন।
সারাবাংলা/কেআইএফ/টিআর