নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু হলো বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা হল
১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২১:০৫
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাককানইবি) শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট নিরসনে চালু হয়েছে নতুন দু’টি হল— জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল এবং বঙ্গমাতা বেগম শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হল।
মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) এই দুই হলে আনুষ্ঠানিকভাবে শিক্ষার্থী ওঠানো শুরু হয়েছে। নবনির্মিত এই হল দু’টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট আবাসিক হলের সংখ্যা দাঁড়ালো চারটিতে।
নতুন দুই হলে শিক্ষার্থীদের ওঠানোর প্রক্রিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্রর শেখর। এসময় তিনি শিক্ষার্থীদের বলেন, আমরা একটি পরিচ্ছন্ন, সুন্দর ও সুশৃঙ্খল বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তুলব। তোমরা তোমাদের হলকে নিজেদের ঘর মনে করে পরিচ্ছন্ন রাখবে। কারণ পরিচ্ছন্নতাই হলো পবিত্রতা।
হলে শিক্ষার্থী তোলার আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরুর সময় উপস্থিত ছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ মাসুম হাওলাদার ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হলের প্রাধ্যক্ষ নুসরাত শারমিন এবং দুই হলের হাউজ টিউটর ও শিক্ষার্থীরা।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে ওঠার সুযোগ পেয়েছেন জাককানইবি’র ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মিশকাত হোসাইন। তিনি বলেন, খুব ভালো লাগছে। আজ আমাদের সেই কাঙ্ক্ষিত দিন, যে দিনটির জন্য আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম দিন থেকে অপেক্ষা করে আসছি। বঙ্গবন্ধু হলের আবাসিক শিক্ষার্থী হওয়াটা আমার জন্য আনন্দ ও গর্বের।
বঙ্গমাতা বেগম শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হলে উঠে অনুভূতি জানালেন হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শারমিন আক্তার। তিনি বলেন, আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে নিজেকে পরিপূর্ণ লাগছে। আমাদের বহুল প্রতীক্ষিত বঙ্গমাতা ও বঙ্গবন্ধু হল খুলে দেওয়া হয়েছে। আমি ব্যাক্তিগতভাবে খুবই আনন্দিত ও উচ্ছ্বসিত। আমরা সবাই ভীষণ খুশি।
মিশকাত ও শারমিনের মতো অন্য যারা হলে ওঠার সুযোগ পেয়েছেন, তাদের অনুভূতিও একই রকম। তারা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, বিশেষ করে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর দে’কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
এর আগে, গত ১ জানুয়ারি নবনির্মিত হল দুইটি চালুর দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসভবন ‘দুখুমিয়া বাংলো’ অবরোধ করেন। তারা আমরণ অনশনের কর্মসূচিও ঘোষণা করেন। ওই সময় উপাচার্য জানান, ২১ জানুয়ারির আগেই হল দুইটি খুলে দেওয়া হবে। সে অনুযায়ীই ২০ জানুয়ারি হল দু’টির আসন বরাদ্দ, চাবি হস্তান্তর ও বাকি আনুষ্ঠানিকতা শেষ করা হয়। ১০ দিন পর এসে হলে উঠলেন শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের আসনসংখ্যা ১ হাজার ২৮৪টি। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হলের আসনসংখ্যা ১ হাজার ১৭৫। হল দু’টি চালুর মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট অনেকটাই নিরসন হবে বলে আশা করছেন শিক্ষার্থীরা।
সারাবাংলা/টিআর