ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার যুদ্ধ লাগাতে চায় যুক্তরাষ্ট্র: পুতিন
২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১১:২৩
ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার যুদ্ধ বাধানোর জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র তার দেশকে দিয়ে ইউক্রেনে যুদ্ধ লাগানোর চেষ্টা করছে। খবর বিবিসি।
ইউক্রেনকে ঘিরে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলোর সঙ্গে কয়েক সপ্তাহ ধরে চলমান উত্তেজনার মধ্যে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন এই গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করলেন। তিনি বলেন, আমেরিকার লক্ষ্য ছিল রাশিয়ার ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপের অজুহাত হিসাবে একটি সংঘর্ষকে ব্যবহার করা।
মস্কো সফররত হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবানের সঙ্গে আলোচনার পর পুতিন বলেন, ‘আমার কাছে মনে হচ্ছে ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র এতটা উদ্বিগ্ন নয়। তবে রাশিয়ার উন্নয়নকে আটকে রাখাই তার প্রধান কাজ। এ লক্ষ্যে পৌঁছাতে ইউক্রেনকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ইউরোপে ন্যাটো জোটের বাহিনী নিয়ে রাশিয়ার উদ্বেগের বিষয়টি উপেক্ষা করছে যুক্তরাষ্ট্র।
আরও পড়ুন: ইউক্রেন ইস্যুতে জাতিসংঘের যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়ার বাগযুদ্ধ
এ সময় ইউক্রেনকে সতর্ক করে পুতিন বলেন, ইউক্রেন যদি তার ইচ্ছা অনুযায়ী ন্যাটোতে যোগদান করে। তবে এটি অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে রাশিয়ার যুদ্ধ বাধাবে।
তিনি আরও বলেন, ‘কল্পনা করুন ইউক্রেন ন্যাটো একটি সদস্য রাষ্ট্র এবং (ক্রিমিয়া পুনরুদ্ধারের জন্য) একটি সামরিক অভিযান শুরু হলো। তাহলে আমরা কি ন্যাটোর সঙ্গে যুদ্ধ করতে যাচ্ছি? কেউ কি এই বিষয়ে চিন্তা করেছে? মনে হয় তারা তা করেনি।’
ইউক্রেনের সীমান্তের কাছে রুশ সেনা মোতায়েনকে কেন্দ্র করে এই উত্তেজনা বিরাজ করছে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি ইউক্রেন সীমান্তে লক্ষাধিক সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন সদস্য রাষ্ট্র ইউক্রেন যেন ন্যাটোতে যোগ না দেয় এমন নিশ্চয়তা দাবি করে সামরিক শক্তি প্রদর্শন করছে মস্কো। ইউক্রেনের মিত্র যুক্তরাষ্ট্র মনে করছে, রাশিয়া যে কোনো সময় সামরিক হামলা চালাতে পারে। তবে রাশিয়া বরাবরই বলে আসছে, সামরিক হামলা চালানোর কোনো উদ্দেশ্য নেই। যদিও ইউক্রেন সীমান্তে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধের সবরকমের প্রস্তুতি নিয়ে অবস্থান করছে রুশ সামরিক বাহিনী। এছাড়া চলতি সপ্তাহে ভূমধ্যসাগর ও প্রতিবেশী বেলারুশে সামরিক শক্তি বাড়িয়েছে মস্কো—যা ইউক্রেনে হামলার চূড়ান্ত প্রস্তুতি বলে মনে করছে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো।
সারাবাংলা/এনএস