গুলিতে নিহত সেনা কর্মকর্তার বাড়িতে শোকের মাতম
৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৭:৩৩
এক বছর পরই চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার কথা ছিল নিহত সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হাবিবুর রহমানের। পটুয়াখালী শহরের বহালগাছিয়ায় গড়ে তুলেছেন নিজের বাড়ি ‘সেনা নিকেতন’ পরিবার পরিজনের সঙ্গে কাটাবেন অবসরকালীন সময়।
কিন্তু তার সেই স্বপ্ন নিভে গেল বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাতে বান্দরবানের রুমা জোনের সেনা টহল দলের সঙ্গে সন্তু লারমা সমর্থিত জেএসএস মূলদলের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের গুলি বিনিময়ের ঘটনায় নিহত হওয়ার পর। এখন তার স্বপ্নের বাড়ির দক্ষিণ পূর্ব কোণে উঠানেই চলছে মরদেহ দাফনের প্রস্তুতি। বিকেলে জানাজা শেষে রাস্ট্রীয় মর্যাদায় তাকে দাফন করা হবে।
হাবিবুর রহমানের মৃত্যুর খবর জানার পর তার বাড়িতে নেমে আসে শোকের ছায়া। আত্মীয়-স্বজনসহ শুভাকাঙ্ক্ষীদের ভিড় আর কান্নায় ভারী হয়ে উঠেছে পুরো এলাকা।
নিহত সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হাবিবুর রহমানের পৈত্রিক বাড়ি জেলার মহিপুর থানার লতিপুর এলাকায় হলেও পটুয়াখালী শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের বহালগাছিয়ায় বাড়ি করে তিনি দীর্ঘদিন ধরে পরিবার নিয়ে বসবাস করেছেন। তার বাবা, মা, স্ত্রী ও দুই ছেলে রয়েছে। ছোট ছেলেও সেনাবাহিনীর সৈনিক পদে বর্তমানে কক্সবাজারের কর্মরত আছেন।
নিহত হাবিবুর রহমানের বড় ছেলে হাসিবুর রহমান বলেন, পাহাড়ে মোবাইলে নেটওয়ার্ক সমস্যা থাকায় বাবার সঙ্গে সবসময় কথা বলতে পারতাম না। সে যখন ফোন করত তখনই কথা বলতে পারতাম। গত রাতেও আব্বার সঙ্গে কথা হয়েছে। আব্বা বলছে কোন ভুল করলে ক্ষমা করে দিও। একটা অভিযানে যাচ্ছি। এরপর বৃহস্পতিবার সকালে খবর আসল বাবা আর নেই।
উল্লেখ্য, বান্দরবানের রুমার দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় সেনাবাহিনীর সাথে সন্তু লারমা সমর্থিত জেএসএস মূলদলের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সঙ্গে গোলাগুলির সময় মাথায় গুলি লেগে নিহত হন সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হাবিবুর রহমান। পায়ে গুলি লেগে আহত হন এক সৈনিক। এসময় তিন সশস্ত্র সন্ত্রাসীও নিহত হয়।
সারাবাংলা/এসএসএ