স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর আশ্বাস—বর্ষায় জলবদ্ধতা হবে না
৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৭:১৫
ঢাকা: বর্ষা মৌসুমে ঢাকা কিংবা চট্টগ্রাম দুই প্রধান নগরীতেই জলাবদ্ধতায় জনজীবনে নেমে আসে চরম দুর্ভোগ। আর এই দুর্ভোগের কারণ দখল, দূষণে শেষ হয়ে যাওয়া খাল, নালা কিংবা নদী। স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, শুধু দফায় দফায় বৈঠক নয়, সশরীরে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, আসছে বর্ষা মৌসুমে মানুষের ভোগান্তি লাঘব করতে ঢাকা ও চট্টগ্রামের মেয়ররা ব্যবস্থা নেবেন। ইতোমধ্যে যেসকল উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তাতে জলাবদ্ধতা কম হবে বলে আশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী।
রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) এ সংক্রান্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় সচিবালয়ে। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তাদের পাশাপাশি ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়রদের সঙ্গে নিয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে জলাবদ্ধতার কারণে যেন জনভোগান্তি না হয় সে লক্ষ্যে ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে প্রয়োজনীয় সকল কার্যক্রম গ্রহণ করার দিক নির্দেশনা দেন।
মন্ত্রী বলেন, শুধু আনুষ্ঠানিক সভা করে ও পরিকল্পনা করলে হবে না, ফলাফল আনতে হবে। এজন্য সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
ঢাকায় জলাবদ্ধতার অন্যতম প্রধান কারণ খাল ও জলাশয় দখল করে অবকাঠামো নির্মাণ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ওয়াসা থেকে খালগুলো দুই সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর করায় খাল সংস্কার, দখলমুক্ত এবং অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হচ্ছে। আমি আশা করি এবছর রাজধানীতে জলাবদ্ধতার সমস্যা থাকবে না।
এসময় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ/দফতর/সংস্থার চলমান সকল প্রকল্পের কাজ সমন্বয় করার তাগিদ দেন মন্ত্রী। জনস্বার্থে যেকোনো কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য মেয়রদের দিক নির্দেশনাও দেন তিনি।
মোহাম্মদপুরের বসিলায় খাল দখল করে ট্রাকস্ট্যান্ড, মার্কেট এবং আবাসিক বাসভবন নির্মাণ করার তথ্য তুলে ধরেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী। তিনি বলেন, কল্যাণপুরে ১৭৩ একর জমির মধ্যে ৩ একর জমি বাদে সব জমি দখল হয়েছে। উত্তর সিটি কর্পোরেশন থেকে অভিযান চালিয়ে খালের জমি উদ্ধার করা হয়েছে। শুধু উত্তর সিটি কর্পোরেশন নয় দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনেও উচ্ছেদ অভিযান চলমান রয়েছে। অবৈধভাবে যে কেউ খাল দখল করুক না কেন, তা উদ্ধার করা হবেই।
জানান, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের জলাবদ্ধতা নিরসন, খাল উদ্ধার, সংস্কার, দখলমুক্ত এবং দৃষ্টিনন্দন করে গড়ে তোলার জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মুহাম্মদ ইব্রাহিমের নেতৃত্বে একটি সাব কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত দেন মন্ত্রী। এসময় উত্তর-দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র জলাবদ্ধতা নিরসনে তাদের প্রস্তুতি সম্পর্কে অবহিত করেন।
সভায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম (ভার্চুয়ালি), ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, চট্ট্রগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকারসহ স্থানীয় সরকার বিভাগ ও সিটি করপোরেশন এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/জেআর/এসএসএ