Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

করপোরেট কর কমানোর দাবি ঢাকা চেম্বারের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২১:১৫

ঢাকা: স্বল্পোন্নত দেশ বা এলডিসি থেকে উত্তোরণের আগে দেশের করপোরেট কর হার আঞ্চলিক দেশগুলোর সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ করা প্রয়োজন বলে মনে করেছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)। সংগঠনটির দাবি, দেশে ধীরে ধীরে করপোরেট কর হার কমানো হোক। একইসঙ্গে ব্যবসা বাণিজ্যের সব ক্ষেত্রে অটোমেশন আনার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির পক্ষে এসব দাবি জানানো হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে ডিসিসিআই সভাপতি রিজওয়ান রাহমান সমসাময়িক অর্থনীতি বিষয়ক ১০টি বিষয়বস্তুর উপর বিস্তারিত চিত্র তুলে ধরেন। পাশাপাশি ২০২২ সালে ডিসিসিআই’র কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করেন।

বিজ্ঞাপন

তিনি জানান, এ বছর ঢাকা চেম্বার সিএমএসএমই, বেসরকারি বিনিয়োগ ও এফডিআই, রফতানি বহুমুখীকরণ, সমুদ্র অর্থনীতি, দক্ষতা উন্নয়ন, ডিজিটাল এনগেইজমেন্ট, কর ব্যবস্থাপনা এবং এলডিসি উত্তরণ প্রভৃতি বিষয়য়ের উপর অধিক হারে গুরুত্বারোপ করা হবে।

ঢাকা চেম্বারের সভাপতি বলেন, ‘করোনার কারণে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে বিশেষকরে সিএমএসএমই খাতের উদ্যোক্তাদের অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। তাদের ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য আর্থিক সহায়তা প্রাপ্তির বিষয়টি আরও সহজীকরণ করা প্রয়োজন। বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার বাজারে টিকে থাকার জন্য আমাদের মানবম্পদের দক্ষতা উন্নয়নে কোনো বিকল্প নেই। এ ব্যাপারে গবেষণা ও উন্নয়ন খাতে আরও বেশি হারে বিনিয়োগ করতে হবে। সমুদ্র অর্থনীতি বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত সম্ভাবনাময়। আমাদের জিডিপিতে এখাতে অবদান রয়েছে ৩ দশমিক ১ শতাংশ এবং এ সম্ভাবনাকে সঠিকভাবে কাজে লাগানোর জন্য একটি কার্যকর রূপকল্প প্রণয়ন করতে হবে।’

বিজ্ঞাপন

রিজওয়ান রাহমান বলেন, ‘এলডিসি থেকে উত্তরণের পর বাংলাদেশে পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে বেশ প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হতে হবে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের পাশাপাশি পিটিএ এবং এফটিএ স্বাক্ষরের ক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে নেগোশিয়েশনের দক্ষতা আরও বাড়ানো খুব জরুরি। এফটিএ’র উপর আমাদের বেশি মনোনিবেশ করা প্রয়োজন। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে বিশেষ করে বিদ্যমান কর কাঠামোর প্রতিবন্ধকতা নিরসন ও যুগোপযোগীকরণ, ক্রস-বর্ডার বাণিজ্য সম্প্রসারণে নীতি সহায়তা দিতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘২০২০-২১ অর্থবছরে আমাদের বেসরকারি বিনিয়োগ ছিল ডিজিপি’র ২১ দশমিক ২৫ শতাংশ এবং ২০২১ সালে এডিআই’র পরিমাণ ছিল ২ দশমিক ৫১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এ অবস্থায় বেসরকারি বিনিয়োগ এবং এফডিআই বৃদ্ধিতে করপোরেট কর কাঠামোর সংস্কার, দ্রততম সময়ের মধ্যে অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে সবধরনের সেবা নিশ্চিত একান্ত অপরিহার্য।’

ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘একমাত্র অটোমেশনই পারে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ অন্যান্য খাতে সব দুর্নীতি রোধ করে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে।’ করপোরেট করের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এলডিসি উত্তরণের আগে বাংলাদেশের করপোরেট কর হার আঞ্চলিক দেশগুলোর সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ করা প্রয়োজন।’ বিদ্যমান করপোরেট কর ২০২২-২৩ এবং ২০২৩-২৪ অর্থবছরে যথাক্রমে ৫ শতাংশ ও ৭ দশমিক ৫ শতাংশ হারে ক্রমান্বয়ে হ্রাসের আহ্বান জানান তিনি।

ঢাকা চেম্বারের সভাপতি আরও উল্লেখ করেন, ‘এলডিসি উত্তরণের পর আমাদের রফতানিমুখী পণ্যের উপর শুল্ক হার বর্তমানের চেয়ে ৬ থেকে ৭ শতাংশ বাড়তে পারে। ফলে এখন থেকে আমাদের পণ্যের বহুমুখীকরণের সঙ্গে সঙ্গে বাজার সম্প্রসারণের উপর মনোযোগী হতে হবে। এছাড়া রফতানি বাড়াতে আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের বাজারের প্রতি আমাদের আরও মনোযোগী হতে হবে।’

এ সময় ডিসিসিআই’র ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি আরমান হক এবং সহ-সভাপতি মনোয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

সারাবাংলা/ইএইচটি/পিটিএম

করপোরেট কর ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর