বইমেলা সংশ্লিষ্টদের ভ্যাকসিন নেওয়ার অনুরোধ স্বাস্থ্য অধিদফতরের
৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২২:২৭
ঢাকা: দেশে ১৫ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শর্তসাপেক্ষে অনুষ্ঠিত হবে অমর একুশে বইমেলা। এজন্য বইমেলা সংশ্লিষ্টদের করোনার ভ্যাকসিন যথাসময়ে নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) দেশের করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত স্বাস্থ্য অধিদফতরের স্বাস্থ্য বুলেটিনে এমনটি জানান প্রতিষ্ঠানটির মুখপাত্র ও সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম।
ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘আশা করছি বইমেলা শুরু হবে, যেহেতু বিপুল লোক সমাগম হবে, স্টলগুলোতে যারা দায়িত্ব পালন করবেন এবং মেলা সংশ্লিষ্ট যারা থাকবেন, তাদের কাছে আমাদের অনুরোধ থাকবে, যাদের প্রথম ডোজের ভ্যাকসিন নেওয়ার পর দ্বিতীয় ডোজের ভ্যাকসিন নেওয়ার এসএমএস এসেছে, তারা যেন যথাসময়ে ভ্যাকসিনটি নিয়ে নেন।’
তিনি বলেন, ‘যাদের বুস্টার ডোজের সময় হয়েছে এবং এসএমএস এসেছে, তারা যেন দ্রুততম সময়ে সেটিও নিয়ে নেন। এছাড়া বইমেলায় অবশ্যই ভ্যাকসিন গ্রহণের যে সনদটি রয়েছে, সেটি যেন দৃশ্যমানভাবে প্রদর্শন করা যায়। এটি অন্যদের কাছে অনুপ্রেরণাদায়ক হতে পারে।’
নাক-মুখ ঢেকে মাস্ক পরিধান করাসহ যেসব স্বাস্থ্যবিধি রয়েছে, সেগুলো মেনে চলার আহ্বান জানান ডা. নাজমুল। তিনি বলেন, ‘ভ্যাকসিন প্রয়োগ কর্মসূচি চলমান রয়েছে এবং আমরা বিশ্বাস করি, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে ভ্যাকসিন রেজিস্ট্রেশনে ও কেন্দ্রে যেতে সহায়তা করা এবং বয়োজ্যেষ্ঠ যারা আছেন, যারা ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জড, যাদের শারীরিক প্রতিবন্ধকতা রয়েছে, তাদেরকে বাড়তি সুবিধা দিয়ে ভ্যাকসিন কেন্দ্রে যেতে সহায়তা করা এবং ভ্যাকসিন দিতে সহায়তা করা আমাদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব বলেই আমরা মনে করি।’
দেশে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী প্রথম ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে ৯ কোটি ৮৯ লাখের বেশি মানুষকে দেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ৬ কোটি ৪৬ লাখেরও বেশি। এ পরিস্থিতিতে ভ্যাকসিনের ১০ কোটি ডোজ দেওয়ার মাইলফলক ছোঁয়ার অপেক্ষায় রয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। আর সেটা হতে যাচ্ছে দেশে ভ্যাকসিন প্রয়োগ কর্মসূচি চালু হওয়ার ঠিক ১ বছরের মাথায়।’
এর আগে, দেশে ২০২১ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি জাতীয় পর্যায়ে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী ভ্যাকসিন প্রয়োগ কর্মসূচি শুরু হয়। ডা. নাজমুল বলেন, ‘আমরা আশাবাদী ১০ কোটির বেশি ল্যান্ডমার্কটি (মাইলফলক) হয়তো আজই (৬ ফেব্রুয়ারি) ছুঁয়ে ফেলতে পারবো। আমরা অধীর আগ্রহে তার অপেক্ষায় আছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইতোমধ্যেই শিক্ষার্থীদের মাঝেও ১ কোটি ৪১ লাখের বেশি প্রথম ডোজ আর ২৬ লাখের বেশি শিক্ষার্থী দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন। শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিন গ্রহণ কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। সেই সঙ্গে দেশে কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে ১ কোটি ৮১ লাখ ৩৬ হাজার ৪০৬ জনকে প্রথম ডোজ আর এক কোটি চার লাখের বেশি মানুষ ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছে।’
সারাবাংলা/এসবি/এমও