ঢাকা: করোনাভাইরাস সংক্রমণ কমার কারণ দেখিয়ে আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শতভাগ আসনে যাত্রী পরিবহনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে— বর্তমানে করোনাভাইরাস ও এর নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের সংক্রমণ নিম্নমুখী। যে কারণে রেলের শতভাগ আসনে যাত্রী পরিবহন করা যেতে পারে।
রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) রেলওয়ের উপ-পরিচালক (টিসি) মো. নাহিদ হাসান খান স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে— সংক্রমণের হার কম আবার ভ্যাকসিন কার্যক্রমও জোরদার করা হয়েছে। ভ্যাকসিন গ্রহণ করে মানুষ বিভিন্ন স্থানে মানুষের যাতায়াত বেড়েছে। যে কারণে রেলে যাত্রীদের চাপ বাড়ছে। অন্যদিকে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখার স্বার্থে রেলের যাত্রী চাহিদা পূরণ করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ট্রেনের টিকেট বিক্রিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, কাউন্টারে টিকেট ইস্যু ও ট্রেনে ভ্রমণের ক্ষেত্রে যাত্রীদের স্বাস্থবিধি মেনে চলা এবং মাস্কের ব্যবহার নিশ্চিত করা, আন্তঃনগর ট্রেনের শতভাগ আসনে টিকেট বিক্রি ইস্যু করা, মোট আসনের ৫০ শতাংশ কাউন্টারে এবং ৫০ শতাংশ অনলাইনে বিক্রি করা, আন্তঃনগর ট্রেনের স্টান্ডিং টিকেট ও স্টেশনের প্লাটফর্মে টিকেট ইস্যু পুরোপুরি বন্ধ থাকবে।
এর আগে রেলপথ মন্ত্রণালয় থেকে অনোমোদিত ইমার্জেন্সি কোটা এবং আন্তঃনগর ট্রেন ম্যানুয়াল অনুযায়ী পাশ কোটা ব্যতিত আন্তঃনগর ট্রেনের টিকেট বিক্রয়ে বিদ্যমান সব ধরনের কোটা রহিত করা এবং স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে প্রতিপালনপূর্বক আন্তনগর ট্রেনে ক্যাটারিং সেবা দেওয়া এবং ট্রেনে রাত্রিকালীন বেডিং সেবার ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। আগামী বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করার কথা বলা হয়েছে প্রজ্ঞাপনে।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে গত ১৫ জানুয়ারি থেকে আন্তনগর ট্রেনে অর্ধেক আসন যাত্রী পরিবহন করে আসছিলো রেলওয়ে। যা আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে সরকারের বিধিনিষেধ শিথিল করে শতভাগ আসনে যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে।
