সহকারীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শকের বিরুদ্ধে
৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৯:৫৫
নড়াইল: সদর উপজেলার মূলিয়া ইউনিয়নের পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক (এফপিআই) তুহিন সরকারের বিরুদ্ধে পরিবার কল্যাণ সহাকারী (এফউব্লিউএ) রানী দাসকে যৌন হয়রানি, অকথ্য ও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ ও স্বামীকে গুম করার হুমকির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে পরিবার কল্যাণ সহাকারী রানী দাস ৭ ফ্রেব্রুয়ারি সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিস ও জেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এছাড়া নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তার জন্য সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন। ডায়েরি নম্বর ২৫১।
রানী দাসের লিখিত অভিযোগ ও সাধারণ ডায়েরি সূত্রে জানা যায়, নড়াইল সদর উপজেলার মূলিয়া ইউনিয়নে পরিবার কল্যাণ সহকারী রানী দাস ২০১৭-১৮ সালে পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শকের শূণ্য পদে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে তুহিন সরকার পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক পদে যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকে তুহিন সরকার নিজের দায়িত্ব পালন না করে পূর্বের মতো রানী দাসকে দিয়ে রিপোর্ট তৈরিসহ যাবতীয় অফিসিয়াল কাজ করতে বাধ্য করেন। কাজ না করলে যৌন হয়রানিসহ বিভিন্ন রকম অশালীন ভাষা ও হুমকি দিয়েছেন। এরকম পরিস্থিতিতে তুহিন সরকারের অধীনে আমার চাকরি করা একেবারেই অসম্ভব। আমি তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। ফোন কল রেকর্ড বের করলে এর সত্যতা মিলবে বলেও জানান তিনি।
রানী দাসের স্বামী কালিয়া উপজেলার শাহাবাদ ইউনাইটেড একাডেমির শিক্ষক সঞ্জয় কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘তুহিন ফোন দিয়ে গালিগালাজ করে এবং বলে তোকে বাড়ি থেকে তুলে এনে তোর চামড়া ছুলে ফেলব, তোর কোন বাপ ঠেকায়? তুই আর তোর দুই মেয়ে বাড়ি থেকে বের হতে পারবি না।’
তবে মূলিয়া ইউনিয়নের পরিবার পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক তুহিন সরকারের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘এসব মিথ্যা অভিযোগ, আমি কিছু বলি নাই।’
সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) প্রশান্ত মল্লিক বলেন, ‘আমি ছুটিতে আছি। বিষয়টি মৌখিকভাবে শুনেছি, অফিসে গিয়ে দেখব।’
জেলা পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের উপ-পরিচালক তুহিন কান্তি ঘোষ বলেন, ‘আমি ট্রেনিংয়ে ঢাকায় আছি। আগামীকাল অফিসে গিয়ে বলতে পারব।’
সারাবাংলা/এমও