দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ
৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৪:০৭
ঢাকা: ২০২০-২১ অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ, যা প্রাথমিক হিসাবে ছিল ৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) এই হিসাব প্রকাশ করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে এ প্রবৃদ্ধির এ হিসাব তুলে ধরা হয়। একনেক শেষে ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, চূড়ান্ত হিসেবে দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৫৯১ ডলার, যা প্রাথমিক হিসেবে ছিল ২ হাজার ৫৫৪ ডলার।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, করোনার মধ্যেও প্রবৃদ্ধির এ অর্জন অনেক প্রশংসার।
কৃষিখাত
সার্বিক বিবেচনায় কৃষিখাতে ২০২০-২১ অর্থবছরের চূড়ান্ত হিসাবে শতকরা ৩ দশমিক ১৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি প্রাক্কলন করা হয়েছে, যা সাময়িক হিসাবে ছিল ২ দশমিক ৩৭ ভাগ। চূড়ান্ত হিসাবে ২০২০-২১ অর্থবছরে শস্য উপখাতে শতকরা ২ দশমিক ২৯ শতাংশ, পশুপালন উপখাতে শতকরা ২ দশমিক ৯৪ শতাংশ, বন উপখাতে শতকরা ৪ দশমিক ৯৪ শতাংশ এবং মৎস্যখাতে শতকরা ৪ দশমিক ১১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি প্রাক্কলন করা হয়েছে।
শিল্পখাত
২০২০-২১ অর্থবছরে ম্যানুফ্যাকচারিং খাতের প্রবৃদ্ধি ১১ দশমিক ৫৯ শতাংশ প্রাক্কলন করা হয়েছে। বছর শেষে বিদ্যুৎখাতে ১১ দশমিক ৬৫ শতাংশ এবং নির্মাণখাতে ৮ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি প্রাক্কলন করা হয়েছে। সার্বিকভাবে চূড়ান্ত হিসাব অনুযায়ী শিল্পখাতে ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি প্রাক্কলন করা হয়েছে ১০ দশমিক ২৯ ভাগ, সাময়িক হিসাব ছিল ৫ দশমিক ৯৯ ভাগ।
সেবাখাত
২০২০-২১ অর্থবছরের চূড়ান্ত হিসাবে পাইকারি ও খুচরা ব্যবসাখাতে ৭ দশমিক ৬৪ শতাংশ, যানবাহন খাতে ৪ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ, ব্যাংক ও বীমাখাতে ৫ দশমিক ৮২ শতাংশ, শিক্ষাখাতে ৫ দশমিক ৮১ শতাংশ ও স্বাস্থ্যখাতে ১০ দশমিক ৬০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি প্রাক্কলন করা হয়েছে। সার্বিকভাবে চূড়ান্ত হিসাব অনুযায়ী, সেবাখাতে ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি প্রাক্কলন করা হয়েছে ৫ দশমিক ৭৩ ভাগ যা সাময়িক হিসাব ছিল ৫ দশমিক ৮৬ ভাগ।
জিডিপি প্রবৃদ্ধির স্থির মূল্য দাঁড়িয়েছে ৪১৬ বিলিয়ন ডলার, যা প্রাথমিক হিসাব ছিল ৪১১ বিলিয়ন ডলার। মাথাপিছু আয় দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ১৯ হাজার ৭৩৮ টাকা, যা প্রাথমিক হিসাব ছিল ২ লাখ ১৬ হাজার ৫৮৯ টাকা।
সারাবাংলা/জেজে/এএম