কলেজ শিক্ষার্থীকে মারধর: চালক-হেলপার কারাগারে
৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৭:৩৯
ঢাকা: হাফ ভাড়া নিয়ে কথা কাটাকাটির জের ধরে ঢাকা কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী শিমুল শিকারীকে মারধর, হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় মৌমিতা পরিবহনের চালক ইয়াসিন ও হেলপার ফারুককে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলামের আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার সাব-ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) আরিফুল ইসলাম দুই আসামিকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক এ আদেশ দেন। তবে আসামিদের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গতকাল সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শিমুল শিকারী ঢাকা কলেজের সামনে থেকে মৌমিতা পরিবহনের একটি বাসে মোহাম্মদপুর কলেজ গেটের উদ্দেশে রওনা হন। সকাল ১০টার দিকে বাসটি ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গেটের সামনে পৌঁছালে বাসের কন্ট্রাক্টরের সঙ্গে শিক্ষার্থী হিসেবে হাফ ভাড়া দেওয়া নিয়ে কথা কাটাকাটি হয় তার।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, বাসের কন্ট্রাক্টর, হেলপার ও অজ্ঞাতনামা তিন-চার জন যাত্রীসহ তাকে এলাপাতাড়ি মারপিট শুরু করে। তাকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে কলা চেপে ধরে। পরে কলেজ গেট এলাকায় বাস থামিয়ে তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া হয়। ওই ঘটনায় শিমুল শিকারী বাদী হয়ে মোহাম্মদপুর থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
সারাবাংলা/এআই/টিআর