জাতীয়করণ করা কলেজ গ্রন্থাগারিকদের ৯ম গ্রেড দিতে হাইকোর্টের রুল
৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২০:১১
ঢাকা: জাতীয়করণ করা কলেজের গ্রন্থাগারিক ও সহকারী গ্রন্থাগারিক পদে ১৪ ও ১৬তম গ্রেডের পরিবর্তে ৯ম ও ১০ম গ্রেডে বেতন নির্ধারণের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে জনপ্রশাসন, অর্থ ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিবসহ সংশ্লিষ্ট ৯ জনকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।
আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া জানান, জাতীয়করণ করা কলেজে গ্রন্থাগারিক ও সহকারী গ্রন্থাগারিক পদে কর্মরতরা ৯ম ও ১০ গ্রেডে এমপিওভুক্ত হন। কলেজ জাতীয়করণের পর মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর ৯ম ও ১০ম গ্রেডে বেতন নির্ধারণের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠায়। কিন্তু অর্থ মন্ত্রণালয় গত বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি ওই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে।
আইনজীবী আরও বলেন, এরপর ২০২১ সালের ১ ডিসেম্বর এবং ২০২২ সালের ১২ জানুয়ারি এ বিষয়ে আদেশ জারি করা হয়। তবে এর আগে ২০১৩ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি এবং ২০১৭ সালের ৯ আগস্ট গ্রন্থাগারিক ও সহকারী গ্রন্থাগারিক পদে কর্মরতদের ৯ম ও ১০ গ্রেডে বেতন নির্ধারণ করে দেওয়া হয়, যা বৈষম্যমূলক ও মৌলিক অধিকারের পরিপন্থি।
এই বৈষম্যের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আবুল কালাম মোহাম্মদ ফরহাদ, মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, রূপনা মজুমদার, শাহজাদি আক্তার, বিপ্লব কুমার দাস, রাবিয়া আক্তার, আনিচাত-উর-রাইয়ান বিনতে খুরশেদ, মোহাম্মদ লুৎফর রহমান, এ কে এম রেজাউল করিম এবং সেলিম হোসেনসহ ২৩ জন গ্রন্থাগারিক ও সহকারী গ্রন্থাগারিক হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। ওই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত আজ রুল জারি করেছেন।
সারাবাংলা/কেআইএফ/টিআর