Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রয়োজন নেই: ফখরুল ইমাম

আজমল হক হেলাল, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৪:০৭

ঢাকা: জাতীয় পার্টি প্রেসিডিয়াম সদস্য ফখরুল ইমাম বলেছেন, আমরা সবসময় প্রগ্রেসিভ মাইন্ডেড। প্রত্যেকটি নির্বাচন আমরা সুষ্ঠুভাবে দেখতে চাই। জনগণ নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে যাবে, তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে, কোনো দলীয় প্রভাব সরকারি দলের প্রভাব এবং পেশিশক্তি ও কালো টাকার প্রভাব ফেলতে পারবে না।

ফখরুল ইমাম সারাবাংলাকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন।

তিনি আশা প্রকাশ করেন, আগামী নির্বাচন অবাধ নিরপেক্ষ সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হবে। কারণ নির্বাচন কমিশন আইন গঠন করা হয়েছে। সেই অনুযায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়োগসহ অন্যান্য কমিশনারদের নিয়োগ করা হবে। সংবিধান নির্বাচন কমিশনকে অনেক ক্ষমতা দিয়েছে। নির্বাচন কমিশন ইচ্ছা করলে দেশ ও জাতিকে অবাধ নিরপেক্ষ সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে পারে। এক্ষেত্রে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রয়োজন নেই। আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি জনগণের ওপর আস্থা আছে।

বিগত নির্বাচনের উদাহরণ তুলে ধরে ফখরুল ইমাম বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলেও দুই-তিনটি নির্বাচন হয়েছে। আবার দলীয় সরকারের অধীনেও নির্বাচন হয়েছে। সবগুলো যে ভালো হয়েছে, তা আমরা বলব না। ভালো-খারাপ মিলিয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

তিনি বলেন, সংবিধানে উল্লেখ থাকা সত্ত্বেও ৫০ বছরে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ ও নির্বাচন কমিশন আইন প্রণয়ন করা হয় নাই। বর্তমান সরকার আইনটি প্রণয়ন করার চেষ্টা করেছে এবং আইনটি প্রণয়ন করেছে। আইনটির মধ্যে যে স্বচ্ছতা রয়েছে তাও বলবো না। কিছু অস্বচ্ছতা রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সংসদে আইনটি পাস করার সময় আমরা বেশ কিছু সংশোধনী দিয়েছিলাম। কিছু সংশোধনী নেয়া হয়েছে কিছু নেওয়া হয়নি। আমি মনে করি আইন কোরআন শরিফ না যে পরিবর্তন করা যাবে না। এই আইনের মাধ্যমে দুয়েকটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে যদি মনে হয় আইনে আরও স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে, তখন সংসদে যারা থাকবে তারা সেটি সংশোধন করতে পারবে।

বিজ্ঞাপন

পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে ব্যাখ্যা দিয়ে ফখরুল ইমাম বলেন, ওখানে সার্চ কমিটি গঠন করে কাউন্সিল অফ মিনিস্টার। তিনি যা বলে দেন, সেটি দিয়ে সে দেশের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কমিশন গঠন করেন। সেহেতু তাদের চেয়ে আমাদের নির্বাচন কমিশন গঠনের ব্যবস্থা খারাপ হয়নি।

আইনে সংশোধনী দেওয়া হয় আইনকে সমৃদ্ধ করার জন্য। যেমন আমার সংশোধনী ছিল রাষ্ট্রপতি যে দুজন নাম দিবেন সেটি তিনি না দিয়ে যেন স্পিকার দেন। তিনি সংসদ সদস্যদের মধ্য থেকে দুইজনের নাম দিলে সার্চ কমিটি গঠনে সংসদ সদস্যদের ইনভলব করা হতো। যেহেতু আমরা সবসময় বলি পার্লামেন্ট হল সবকছুর কেন্দ্রবিন্দু। সেহেতু সংসদকে ইনভলব করলে ভালো হতো।

তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতির নেতৃত্বে যে সার্চ কমিটি গঠন করা হয়েছে, তা নিয়ে আমরা কোনো মন্তব্য করতে চাই না। এক কথায় যদি বলি ভালো হয়েছে। আমাদের উচিত আস্থা রাখা। আর এই আইন নিয়ে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো যে মন্তব্য করেছে বা করছে তা বিরোধিতার কারণে বিরোধিতা করা। সার্চ কমিটি দিয়ে নির্বাচন হবে না, নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশন দিয়ে।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন করার দাবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যারা এই দাবি করছেন তাদের দাবি যুক্তিযুক্ত নয়। সংবিধান মেনে চলা এবং আস্থা বিশ্বাস সচেতনতাই স্বচ্ছতা দিতে পারে।

বিএনপির লোক নিয়োগ প্রসঙ্গে বলেন, এ ব্যাপারে সংসদে প্রধানমন্ত্রী নিজেই বলেছেন তাদের লবিস্ট নিয়োগের বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন। যদি রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে জন্য লবিস্ট নিয়োগ করেন অবশ্যই পদক্ষেপ নেবেন। নির্বাচন কমিশন বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলো তাদের হিসাব দিয়েছেন। তাতে লবিস্ট নিয়োগের হিসাব দেননি। ফলে নির্বাচন কমিশন বিষয়টি দেখবেন। দেশবিরোধী কর্মকাণ্ড কেউ জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্র ব্যবস্থা নেবে সেটাই স্বাভাবিক।

বিজ্ঞাপন

আগামী নির্বাচন জাতীয় পার্টি এককভাবে করবে নাকি জোটগতভাবে করবে? জানতে চাইলে তিনি বলেন, সে বিষয়ে দলের প্রেসিডিয়াম বৈঠকে সিদ্ধান্ত হবে। এই মুহূর্তে সঠিকভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না।

সারাবাংলা/এএইচএইচ/এএম

ফখরুল ইমাম

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর