পুলিশের এসিসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা তদন্তের নির্দেশ
৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৭:৫৫
ঢাকা: বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক সাফায়েত মাহবুব ফারাইজিকে হত্যার অভিযোগে বাড্ডা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার তয়াছের জাহানসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাতুল রাকিবের আদালত মামলাটি আমলে গ্রহণ করে অভিযোগ বিষয়ে তদন্ত করে আগামী ৯ মার্চ পিবিআইকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
এদিন ফারাইজির মা শামিমুন নাহার লিপি মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার অন্য আসামি হলেন ভাটারা থানার সাব-ইন্সপেক্টর মশিউর, সুজানা তাবাসসুম সালাম, আফতাব, শাখাওয়াত, আসওয়াদ, কামরুল হক (বাড়ির মালিক) ও রিপন।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত বছর ২৯ সেপ্টেম্বর বাদীর ছেলে বাংলাদেশে আসেন। ফারাইজি দেশে আসার পর তার মায়ের সঙ্গে সুজানা, আফতাব, শাখাওয়াত ও আসওয়াদকে পরিচয় করিয়ে দেন। মাঝে মধ্যে ফারাইজির সঙ্গে তার বন্ধু সুজানা দেখা করতে বাসায় আসত। তারা বাসায় এসে গোপনে নেশা করত। বিষয়টি জেনে শামিমুন নাহার তাদের বাসায় আসতে সুজানাকে মানা করেন।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সুজানা ও তার দলবল বাসায় এসে মা-ছেলেকে গালিগালাজ ও আঘাত করে। পরে ৯৯৯ এ কল দিলে পুলিশ এসে বিষয়টা নিয়ন্ত্রণে আনে এবং মীমাংসা করে দেয়।
এরপর গত ১০ ফেব্রুয়ারি শামিমুন নাহার এবং তার ছেলে গুলশানে যান। সেখান থেকে ফেরার পথে আসামিরা তাদের ওপর আক্রমণ করে আহত করে। পরে তারা ঢাকা মেডিকেল হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফেরেন।
ওইদিন রাত সাড়ে ৯ টার দিকে এসি তয়াছের জাহান এবং এসআই মশিউর ভিকটিমের বাসায় সুজানাকে নিয়ে যান। তারা সুজানার সঙ্গে ফারাইজিকে যোগাযোগ ও সম্পর্ক রাখতে বলেন। অন্যথায় ফারাইজি দেশে থাকতে পারবে না বলে হুমকি দেয়।
এজাহারে জানা যায়, ভিকটিম গত ২৫ ডিসেম্বর বড়দিনের অনুষ্ঠান পালন করতে বাসা থেকে বের হন। এ সময় তার সঙ্গে সুজানা, আফতাব, শাখাওয়াত ও আসওয়াদ ছিল। পরবর্তীতে ফারাইজি আর বাসায় ফেরেনি। ফারাইজির কোনো হদিস না পেয়ে বাদী ভাটারা থানায় যান।
এসি তয়াছের জাহনের কাছে সুজানার ঠিকানা জানতে চান। তখন এসি জানান আসামির বিষয় ও ঠিকানা তিনি জানেন না। এরপর ২৭ ডিসেম্বর বাদীর কাছে ভাটারা থানা থেকে ফোন আসে তার ছেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
গত ১ জানুয়ারি ময়না তদন্ত শেষে বাদীকে তার ছেলের লাশ হস্তান্তর করা হয়। এরপর ২ জানুয়ারি বাদী সেখানে যান যেখানে তার ছেলে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। কিন্তু বাড়ির মালিক কামরুল হক (বাড়ির মালিক) ও কেয়ারটেকার রিপন তাকে বাসায় ঢুকতে না দিয়ে হত্যার হুমকি দেন। এরপর ৩ জানুয়ারি বাদী ভাটারা থানায় মামলা করতে গেলে এসি তয়াছের জাহান ও এসআই মশিউর মামলা না করার হুমকি দেন।
সারাবাংলা/এআই/একে