Monday 21 Apr 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের অর্থ আত্মসাৎ: দুদক কর্মকর্তাকে তলব

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২১:২৩ | আপডেট: ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২২:৫৯

ফাইল ছবি

ঢাকা: আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের (সাবেক ওরিয়েন্টাল ব্যাংক) ৪৮৮ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলার সব আসামিকে অব্যাহতি দেওয়ায় দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা (উপপরিচালক) মো. জাহাঙ্গীর আলমকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। তাকে আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি আদালতে উপস্থিত হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালককেও এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে হবে।

এছাড়া আদালত স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে একটি রুল দিয়েছেন। বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ), আইসিবি ইসলামী ব্যাংক ও দুদককে রুলের জবাব দিতে হবে।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) এ বিষয়ে দায়ের করা এক রিটের শুনানি নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করেন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ।

আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী অনিক আর হক ও ইফতাবুল কামাল অয়ন। দুদকের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।

অন্যদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মুনীরুজ্জামান ও সৈয়দ হাসান জোবায়ের। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আন্না খানম কলি।

২০১৫ সালে সৈয়দ সরফরাজ শাহসহ পাঁচ ব্যক্তি এই রিট করেন। ওই রিট মামলা শুনানির সময় হাইকোর্ট তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলমের কাছে কারণ জানতে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করেছেন। তাকে আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি সশরীরে হাজির হয়ে এবং আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালককেও এর ব্যাখ্যা দিতে হবে। পাশাপাশি বিএফআইইউ, বাংলাদেশ ব্যাংক, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক ও দুদককে এই রুলের জবাব দিতে হবে।

বিজ্ঞাপন

এজাহারের বরাত দিয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক জানান, ওরিয়েন্টাল ব্যাংকের তৎকালীন কর্মকর্তা কাজী মানজুর হোসেন ২০০৭ সালের ২৫ জানুয়ারি ২৫ জনকে আসামি করে তেজগাঁও থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, আসামিরা পারস্পরিক যোগসাজশে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে মিথ্যা হিসাব দেখিয়ে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ৪৮৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন। তারা দ্য ওরিয়েন্টাল ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়, বংশাল শাখা, নবাবপুর শাখা, মিরপুর শাখা, কাওরান বাজার শাখা ও প্রিন্সিপাল শাখার বিভিন্ন কর্মকর্তাদের সহায়তায় ব্যাংকিং রীতি বহির্ভূতভাবে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়কে ৩৬৯টি ভাউচারের মাধ্যমে ডেবিট করেন ৪৭১ কোটি ৩৫ লাখ টাকা।

এজাহারে আরও বলা হয়, প্রধান কার্যালয়ের ফিন্যান্সিয়াল কন্ট্রোল ডিপার্টমেন্টের মাধ্যমে কাওরান বাজার ও বংশাল শাখার ওপর দু’টি আইবিসিএ ইস্যুর মাধ্যমে ১৭ কোটি ১৫ লাখ টাকা তুলে নেন। ২০০৩ সাল থেকে ২০০৬ সালের জুন পর্যন্ত সময়ের মধ্যে বিভিন্ন অস্তিত্ববিহীন ও স্বার্থ সংশ্লিষ্ট হিসাবের মাধ্যমে তারা মোট ৪৮৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক জানান, দুদকের তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম ২০১৩ সালে ২৩ ডিসেম্বর আসামিদের অব্যাহতি দিয়ে এই মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছিলেন। এ কারণে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে তলব করেছেন আদালত।

সারাবাংলা/কেআইএফ/টিআর

আইসিবি ইসলামী ব্যাংক দুদক কর্মকর্তাকে তলব সাবেক ওরিয়েন্টাল ব্যাংক