পানির দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হবে গণবিরোধী: জি এম কাদের
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৯:১৯
ঢাকা: ওয়াসা বোর্ডের প্রস্তাব অনুযায়ী পানির দাম বাড়ানো হলে সেটি গণবিরোধী হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের (জি এম কাদের)।
তিনি বলেন, পানির দাম বাড়ানো হবে গণবিরোধী সিদ্ধান্ত। পানির দাম বাড়ালে মানুষের কষ্ট আরও বেড়ে যাবে। তাই কোনোভাবেই পানির দাম বাড়ানো ঠিক হবে না। সম্প্রতি ওয়াসার বিশেষ বোর্ড সভায় পানির দাম ৪০ শতাংশ বাড়ানোর যে প্রস্তাব করেছে, তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বনানীতে জাপা চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে পার্টির অতিরিক্ত মহাসচিবদের এক সভায় তিনি এ কথা বলেন।
সভায় জি এম কাদের বলেন, মহামারি করোনার কারণে অনেক মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। চাকরি ও ব্যবসা হারিয়ে দেশে বেকারের সংখ্যা কয়েক কোটি। এমন বাস্তবতায় সংসার চালাতে সাধারণ মানুষ হিমশিম খাচ্ছে। আবার প্রতিদিনই দ্রব্যমূল্য বেড়ে আকাশচুম্বী হয়ে পড়েছে। সাধারণ মানুষের অভিযোগ, রাজধানীর অনেকেই প্রতিমাসে পানির বিল দিয়ে প্রয়োজনমতো পানি পাচ্ছেন না। আবার অনেকের অভিযোগ, ওয়াসা লাইনের পানি ময়লা ও দুর্গন্ধযুক্ত হওয়ায় তা পান করা যায় না।
তিনি আরও বলেন, ঢাকা ওয়াসা নিজস্ব আয় দিয়ে পরিচালন ব্যয় ও উন্নয়ন প্রকল্পের ঋণ পরিশোধে হিমশিম খাচ্ছে— এ অজুহাতে পানির দাম বাড়ানো কখনোই যৌক্তিক হতে পারে না। বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সাধারণ মানুষের অভিযোগে জানা যায়, ওয়াসার বিভিন্ন খাতে দুর্নীতি ও অপচয়ের কারণে অযৌক্তিক হারে উন্নয়ন ও পরিচালন ব্যয় বেড়েছে। সেটি পুষিয়ে নিতেই জনগণের ঘাড়ে অতিরিক্ত হারে পানির দাম চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
এর আগে, ২০২০ সালের ১০ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদে জাপা চেয়ারম্যান তার বক্তৃতায় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে বলেছিলেন, পদ্মা নদীর পানি শোধনের মাধ্যমে ঢাকা ওয়াসাকে দৈনিক ৪৫ কোটি লিটার বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য ৩ হাজার ৮০০ কোটি টাকার ‘পদ্মা জশলদিয়া পানি শোধনাগার’ নামে একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। সে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হওয়ার ও সম্পূর্ণ মূল্য পরিশোধের পর দেখা যায়, সেখান থেকে দৈনিক মাত্র ১৫ কোটি লিটার পানি পওয়া যাচ্ছে। এতে করে প্রতি মাসে সরকারের ক্ষতি ১৭ কোটি টাকা বা বাৎসরিক ২০৪ কোটি টাকা।
সভায় আরও বক্তৃতা করেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, অতিরিক্ত মহাসচিব সাহিদুর রহমান টেপা, অ্যাডভোকেট শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, প্রেসিডিয়াম সদস্য ফখরুল ইমাম, এ টি ইউ তাজ রহমান, ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, অ্যাডভোকেট মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, মেজর (অব.) রানা মো. সোহেল।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/টিআর