চট্টগ্রামে ফের সক্রিয় ‘ভিওআইপি চক্র’, সরঞ্জামসহ গ্রেফতার ১
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২০:১৬
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়া থেকে প্রায় ৫৫ লাখ টাকা মূল্যের অবৈধ ভিওআইপি সরঞ্জামসহ এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
র্যাব জানিয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপ-মেসেঞ্জার অ্যাপের ব্যাপক ব্যবহার, বিটিআরসিকে নিয়ে র্যাবের ধারাবাহিক অভিযান এবং সিম নিবন্ধনে মোবাইল অপারেটরদের কড়াকড়ির কারণে চট্টগ্রামে কয়েকবছর ধরে অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসা প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তবে সাম্প্রতিক সময়ে কৌশল পাল্টে গ্রামাঞ্চলের লোকজনকে টার্গেট করে আবারও এই অবৈধ কার্যক্রম শুরু করেছে কয়েকটি চক্র।
শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ভোরে নগরীর বাকলিয়া থানার ময়দার মিল এলাকার কাশেম ম্যানসন নামে একটি ভবনের পঞ্চম তলার একটি ফ্ল্যাটে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থার (বিটিআরসি) কর্মকর্তাদের নিয়ে র্যাব অভিযান চালায়। আগের দিন চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার মধ্যম কাঞ্চনার নিজ বাড়ি থেকে এ ব্যবসায় জড়িত মো. বদরুদ্দোজাকে (৩৬) গ্রেফতার করা হয়।
র্যাবের চট্টগ্রাম জোনের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এম এ ইউসুফ জানিয়েছেন, বদরুদ্দোজা ও তার ছোট ভাই নুরুল হুদা বাকলিয়ায় বাসা ভাড়া নিয়ে অবৈধ ভিওআইটি ব্যবসা পরিচালনা করতেন। বদরুদ্দোজা প্রায় দেড় যুগ সৌদি আরবে ছিলেন। করোনার সংক্রমণ পরিস্থিতিতে ২০২০ সালে তিনি দেশে ফিরে আসেন। দেড় বছর আগে তারা বাসা ভাড়া নিয়ে ভিওআইপি ব্যবসা শুরু করেন। ওই বাসা নজরদারিতে রাখতে চারটি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করেছিলেন তারা। সেগুলোর সংযোগ ছিল তাদের নিজস্ব মোবাইলেও।
র্যাব জানায়, বাকলিয়ার ওই বাসা থেকে অত্যাধুনিক তিনটি ভিওআইপি মেশিন, চারটি ল্যাপটপ, ১ হাজার ৩৫০টি সিম, আটটি রাউটার, ট্যাব, পাঁচটি মডেমসহ বিভিন্ন ধরনের সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে।
জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৭-এর অধিনায়ক বলেন, ‘জব্দ করা টেলিটক সিমগুলো নিবন্ধন ছাড়াই প্রতিটি ৪৮০ টাকা দরে তারা কিনেছিল। বিদেশে প্রতিটি কলে তারা ছয় পয়সা করে লাভ পেত। জব্দ করা সিমগুলোর মধ্যে বেশিরভাগই অচল। তারা একসঙ্গে ৬০-৭০টি করে সিম কিনত।’
এ ঘটনায় বিটিআরসি’র পক্ষ থেকে বাকলিয়া থানায় মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলেও জানান র্যাব অধিনায়ক।
এর আগে, ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে সর্বশেষ অভিযান চালিয়ে র্যাব চট্টগ্রাম নগরী থেকে ভিওআইপি সরঞ্জাম উদ্ধার করেছিল।
সারাবাংলা/আরডি/টিআর