র্যাব-পুলিশের পরিচয়ে ছিনতাই, গ্রেফতার ৬
১২ এপ্রিল ২০১৮ ১৬:৩৭
।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: প্রবাসী ও বিত্তশালীদের টার্গেট করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয় দিয়ে ছিনতাই করছে একটি চক্র। বুধবার দুপুর থেকে বৃহস্পতিবার ভোর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে রাজধানীর রুপনগর ও সাভার সদর এলাকা থেকে এ চক্রের ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান।
গ্রেফতাররা হলেন- আনিসুর রহমান, আরিফুল ইসলাম, খালেদুল ইসলাম বাপ্পি, আব্দুর রহমান, জানু মিয়া ও শাহজাহান মিয়া। তাদের কাছ থেকে দুইটি বিদেশি পিস্তল, চার রাউন্ড গুলি, দুইটি নকল ওয়াকিটকি সেট, দুই জোড়া বুট, দুইটি নকল পুলিশ আইডি কার্ড, একটি ধারালো ছোরা, ৮টি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মোবাইল ফোন, ১৫০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও দুইটি প্রাইভেট কার উদ্ধার করা হয়।
মাহমুদ খান বলেন, রূপনগরে একটি চক্র ছিনতাই করছে এমন তথ্যে অভিযান চালিয়ে প্রথমে আনিসুর, আরিফুল ও খালেদুলকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের তথ্যের ভিত্তিতে সাভার হিমান্দীপুর থেকে আব্দুর, জানু ও শাহজাহানকে গ্রেফতার করা হয়। এরা ২০০৯ সাল থেকে এই চক্রের সঙ্গে জড়িত। আনিসুর তার নিজের প্রাইভেটকার ছিনতায়ের কাজে ব্যবহার করত। আরিফুল প্রথমে গার্মেন্টস শ্রমিক ছিল, কিন্তু পরে প্রাইভেটকার চালানো শিখে এ চক্রে জড়িয়ে পড়ে।
তিনি আরও বলেন, খালেদুল একজন জুয়েলারি ব্যবসায়ী। সে ছিনতাইয়ের স্বর্ণ তার নিজের দোকানে এনে বিক্রি করত। আব্দুরও একজন গাড়ি চালক। জানু মিয়া যাত্রাবাড়ীতে সু্প ও হালিম বিক্রি করত। পরে লেবারের কাজের পাশাপাশি ছিনতাইয়ে সরাসরি অংশ নেয়। শাহজাহান একজন ব্যবসায়ী। তার থাই ও অ্যালুমিনিয়ামের দোকান আছে। গ্রেফতার শাহজাহান ও আরিফুল সম্পর্কে মামা-ভাগ্নে।
গণমাধ্যম শাখার পরিচালক বলেন, এ চক্রের একজন সদস্য এয়ারপোর্ট, রেল ও বাস স্টেশনের যাত্রীদের সঙ্গে ভাল ব্যবহার করে সম্পর্ক গড়ে তোলে। পরে একই স্থানে যাবে বলে চক্রের অন্য সদস্যের গাড়ি ভাড়া নিয়ে যাত্রীদের সঙ্গে রওনা দেয়। পরে পথে যাত্রীদের সবকিছু লুট করে রাস্তায় ফেলে রেখে যায়। তারা বিত্তশালীদেরও মনিটরিং করে। বিভিন্ন লেনদেনের সময় তারা টার্গেট করে ছিনতাই করে। ছিনতাইয়ের সময় তারা কেমিক্যাল ব্যবহার করে। এতে অনেক সময় ভিকটিমদের বড় ধরণের শারীরিক ক্ষতিও হয়।
সারাবাংলা/এসআর/ আইএ/এমএস