রাশিয়ার ধাওয়া খেয়ে পালাল মার্কিন সাবমেরিন!
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৩:২৪
রাশিয়ার অ্যান্টি সাবমেরিনের ধাওয়া খেয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি সাবমেরিন দেশটির আঞ্চলিক জলসীমা ত্যাগ করেছে বলে দাবি রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের। দেশটির কুরিল দ্বীপের কাছে গেলে মার্কিন সাবমেরিনটিকে ধাওয়া করে রুশ নৌ বাহিনী। খবর এনডিটিভি।
ইউক্রেন ইস্যুতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার মধ্যে গতকাল শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) এমন দাবি করল রাশিয়া। যদিও মার্কিন সামরিক বাহিনী এই দাবি অস্বীকার করেছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, পূর্ব নির্ধারিত সামরিক মহড়ার সময় মার্শাল শাপোশনিকভ অ্যাটি-সাবমেরিনটি উত্তর প্রশান্ত মহাসাগরের কুরিল দ্বীপের কাছে রাশিয়ার আঞ্চলিক জলসীমায় মার্কিন নৌবাহিনীর ভার্জিনিয়া শ্রেণির সাবমেরিন শনাক্ত করে।
রুশ মন্ত্রণালয় আরও জানায়, এ সময় মার্কিন সাবমেরিনটি নির্দেশ অমান্য করে। ফলে যুদ্ধ জাহাজের ক্রুরা ‘যথাযথ উপায় অবলম্বন’ করলে সাবমেরিনটি দ্রুত বেগে চলে যায়। তবে এ বিষয় আর বিস্তারিত কিছু জানান হয়নি।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনের ৩ দিকে রাশিয়ার সমর সজ্জা
বাইডেন-পুতিন ফোনালাপ: হামলা হলে দ্রুত প্রতিক্রিয়া দেখাবে পশ্চিম
এ ঘটনায় দেশটিতে নিযুক্ত মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাকে তলব করা হয়েছে বলে জানিয়েছে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
এদিকে এক বিবৃতিতে রাশিয়ার এমন দাবিকে অস্বীকার করেছে মার্কিন সেনাবাহিনী। ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ‘তাদের (রাশিয়া) আঞ্চলিক জলসীমানায় আমাদের অভিযানের পরিচালনা করা হয়েছে— রাশিয়ার এমন দাবির কোনো ভিত্তি নেই।’
এমন সময় রাশিয়া এই দাবি করল যখন ইউক্রেনকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে এক ধরনের উত্তেজনা বিরাজ করছে। ইউক্রেন সীমান্তে লক্ষাধিক সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন সদস্য রাষ্ট্র ইউক্রেন যেন ন্যাটোতে যোগ না দেয় এমন নিশ্চয়তা দাবি করে সামরিক শক্তি প্রদর্শন করছে মস্কো। ইউক্রেনের মিত্র যুক্তরাষ্ট্র মনে করছে, রাশিয়া যে কোনো সময় সামরিক হামলা চালাতে পারে।
তবে রাশিয়া বরাবরই বলে আসছে, সামরিক হামলা চালানোর কোনো উদ্দেশ্য নেই। যদিও ইউক্রেন সীমান্তে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধের সব রকমের প্রস্তুতি নিয়ে অবস্থান করছে রুশ সামরিক বাহিনী। এছাড়া চলতি সপ্তাহে ভূমধ্যসাগর ও প্রতিবেশী বেলারুশে সামরিক শক্তি বাড়িয়েছে মস্কো—যা ইউক্রেনে হামলার চূড়ান্ত প্রস্তুতি বলে মনে করছে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো।
সারাবাংলা/এনএস