Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ইসি গঠনে দেরি হলেও শূন্যতা সৃষ্টি হবে না: আইনমন্ত্রী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৫:১৫

ফাইল ছবি

ঢাকা: আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হলেও আইন অনুযায়ী কোনো শূন্যতা সৃষ্টি হবে না।

রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ খচিত স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়া, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ (বাংলা পাঠ) এবং জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ আইন ২০২১ এর মোড়ক উন্মোচন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বর্তমান কমিশনের মেয়াদ শেষ হলে নতুন কমিশন গঠিত না হলে আইনের ব্যত্যয় ঘটবে না। সংবিধানে কিংবা আইনে এ ধরনের কোনো শূন্যতার কথা নাই। সেজন্য কাল এই কমিশনের মেয়াদ পূর্ণ হচ্ছে এবং তারপর নির্বাচন কমিশন গঠন করতে একটু দেরি হলেও আইনে শূন্যতা হিসাবে গণ্য হবে না।

মেয়াদ শেষ হলে কমিশনাররা অফিসিয়াল কোনো দায়িত্ব পালন করতে পারবেন কিনা জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘না তারা সেটা পারবেন না। কারণ সংবিধানে সুনির্দিষ্টাভাবে বলা আছে তারা পাঁচ বছর দায়িত্ব পালন করবেন। পাঁচ বছর শেষ হয়ে গেলে এমন কথা নাই যে, যারা স্থলাভিষিক্ত হবেন তারা না আসা পর্যন্ত দায়িত্বে থাকবেন। এই সময়ে তো ইলেকশন কমিশন বন্ধ হয়ে যাবে না। অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ দায়িত্ব পালন করবে। কিন্তু নতুন নির্বাচন কমিশন আসলেই কোনো নির্বাচনের বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে পারবে।

আইনমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সংসদ আইন পাস করে সার্চ কমিটি গঠন করেছে। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে গত বছরের ডিসেম্বরের ২০ তারিখ থেকে শুরু করে এই বছর জানুয়ারির ১৭ তারিখ পর্যন্ত যে সংলাপ রাজনৈতিক দলগুলোর হয়েছে, সেই রাজনৈতিক দলগুলো এবং যে দলগুলো সংলাপে যায়নি সকলেরই কিন্তু একটা দাবি ছিল যে একটা ইলেকশন কমিশন গঠনের আইন করা উচিত।

বিজ্ঞাপন

‘সংসদ এই আইন করেছে সকলের পার্টিসিপেশনে। এরকম কোনো আইন এখন পর্যন্ত হয়নি যেখানে বিরোধীদলীয় ২২টি সংশাধনী নেওয়া হয়েছে। এমনকি এই আইনের যে নাম তাও বিরোধীদলীয় যে সংশোধনী তার প্রেক্ষিতে বদলে দেওয়া হয়েছে। সেই ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন আইন হয়েছে। তার প্রেক্ষিতে সার্চ কমিটি কাজ করছে। তারা তাদের দায়িত্ব পালন করছেন, আমরা আশা করব তাদের দায়িত্ব পালনের শেষে সকলেই একটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন পাবে।’-যোগ করেন আইনমন্ত্রী।

এক প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, গণতন্ত্রের কথাই হচ্ছে সংলাপ। সেখানে প্রত্যেকবারই কোনো পদক্ষেপকে যদি তারা ইতিবাচকভাবে না নিয়ে নেতিবাচকভাবে নেয়, তাহলে আমার মনে হয় জনগণ সেটিকে গণতান্ত্রিক বলে মনে করবে না।

সারাবাংলা/জিএস/এএম

আইনমন্ত্রী নির্বাচন কমিশন গঠন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর