পাসের হারে ছেলেদের চেয়ে এগিয়ে মেয়েরা
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৫:৪৬
ঢাকা: এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা ২০২১ এর ফলাফলে পাসের হারে ছেলেদের চেয়ে এগিয়ে আছে মেয়েরা।
রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সংবাদ সম্মেলন করে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ফলাফল ঘোষণা করেন।
এ বছর অংশগ্রহণকারী মোট ১৩ লাখ ৭১ হাজার ৬৮১ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্র ৭ লাখ ১৫ হাজার ৫১৬ জন এবং ছাত্রী ৬ লাখ ৫৬ হাজার ১৬৫ জন।
তাদের মধ্যে ৬ লাখ ৭৩ হাজার ৫৮০ জন ছাত্র এবং ৬ লাখ ৩৩ হাজার ১৩৮ জন ছাত্রী পাস করেছেন।
শতকরা হারে ৯৪ দশমিক ১৪ শতাংশ ছাত্র এবং ৯৬ দশমিক ৪৯ শতাংশ ছাত্রী পাস করেছে।
দেশের ৯টি শিক্ষা বোর্ড এবং মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের প্রতিটিতেও চিত্র একই। প্রতিটি বোর্ডেই ছাত্রদের চেয়ে পাসের হারে এগিয়ে ছাত্রীরা।
এ বছর মোট ১৪ লাখ ৩ হাজার ২৪৪ জন শিক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশন করলেও পরীক্ষায় অংশ নেয় ১৩ লাখ ৭১ হাজার ৬৮১ জন। তাদের মধ্যে পাস করেছে ১৩ লাখ ৬ হাজার ৭১৮ জন। পাসের হার ৯৫ দশমিক ২৬ শতাংশ।
এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৮৯ হাজার ১৬৯ জন।
এবার উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমান পরীক্ষায় ১১ বোর্ডে গড়ে পাশের হার ৯৫ দশমিক ২৬ শতাংশ। এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে এক লাখ ৮৯ হাজার ১৬৯ শিক্ষার্থী। সাধারণ ৯ বোর্ডে পাশের হার ৯৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ, কারিগরি বোর্ডে পাশের হার ৯২.৮৫ শতাংশ এবং মাদ্রাসা বোর্ডে পাশের হার ৯৫.৪৯ শতাংশ।
পরীক্ষার ফল শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে (www.educationboardresults.gov.bd) এবং এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানা যাবে। এ ছাড়া পরীক্ষা কেন্দ্র ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকেও ফল সংগ্রহ করা যাবে।
ফলাফল অনুসারে ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৯৬ দশমিক ৫২ শতাংশ, যশোর বোর্ডে ৯৮ দশমিক ১১ শতাংশ, সিলেট বোর্ডে ৯৪ দশমিক ৮০ শতাংশ, বরিশাল বোর্ডে ৯৫ দশমিক ৭৬ শতাংশ, কুমিল্লা বোর্ডে ৯৭ দশমিক ৪৯ শতাংশ, দিনাজপুর বোর্ডে ৯২ দশমিক ৪৩ শতাংশ, রাজশাহী ৯৭ দশমিক ২৯ শতাংশ, ময়মনসিংহ বোর্ডে ৯৫ দশমিক ৭১ শতাংশ, চট্টগ্রাম বোর্ডে ৮৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ, মাদরাসা বোর্ডে ৯৫ দশমিক ৪৯ ৯২.৮৫ ও কারিগরি বোর্ডে পাসের হার ৯২ দশমিক ৮৫ শতাংশ।
করোনা মহামারির কারণে এবারের এইচএসসি পরীক্ষা অন্যান্য বছরের মতো হয়নি। পরীক্ষা হয় শুধু নৈর্বাচনিক বিষয়ে। আর আবশ্যিক বিষয়ে আগের পাবলিক পরীক্ষার সাবজেক্ট ম্যাপিং করে মূল্যায়নের মাধ্যমে নম্বর দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বাদ দেয়া হয় চতুর্থ বিষয়ের পরীক্ষাও।
এবার ২ হাজার ৬২১টি কেন্দ্রে ৯ হাজার ১৮৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১৩ লাখ ৯৯ হাজার ৬৯০ জন পরীক্ষার্থী ছিলেন। এর মধ্যে নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে পরীক্ষার্থী ছিলেন ১১ লাখ ৩৮ হাজার ১৭ জন। এদের মধ্যে ২ লাখ ৫৪ হাজার ৮৩০ জন বিজ্ঞান, ৬ লাখ ৫৬ হাজার ১৩২ জন মানবিক এবং ২ লাখ ২৭ হাজার ৫৫ জন বাণিজ্য বিভাগের। এ ছাড়া ১ লাখ ১৩ হাজার ১৪৪ জন মাদ্রাসা ও ১ লাখ ৪৮ হাজার ৫০৩ জন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের শিক্ষার্থী।
সারাবাংলা/একে