গণপূর্তের সেলিমের স্ত্রীর ৩ বছর জেল
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২৩:২৪
ঢাকা: গণপূর্ত অধিদফতরের সাবেক মালি সেলিম মোল্যার স্ত্রী পারভীন আক্তারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় পৃথক দুই ধারায় তিন বছর করে ছয় বছরের কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. ইকবাল হোসেন।
আসামির বিরুদ্ধে সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে তিন বছর এবং জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তাকে আরও তিন বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়। দুই ধারার সাজা একত্রে চলবে বলে আদেশে উল্লেখ করেন বিচারক। সেক্ষেত্রে, তাকে তিন বছর কারাভোগ করতে হবে।
রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে এই রায় হয়। রায় ঘোষণার সময় পারভীন আক্তার আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণা শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এছাড়াও, অবৈধভাবে অর্জিত এক কোটি ২৬ লাখ ৩৩ হাজার ৪৩১ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
এদিকে, ২০১৬ সালের ২২ নভেম্বর একটি পত্রিকায় মালি থেকে কোটিপতি সেলিম মোল্যা শিরোনামে নামে অবৈধ সম্পদ সংক্রান্ত একটি সংবাদ প্রকাশ করা হয়। অভিযোগের অনুসন্ধানে দুদক ২০১৭ সালের ১৮ অক্টোবর সেলিম মোল্যার স্ত্রী পারভীন আক্তারকে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নির্দেশ দেয়। পরে পারভীন আক্তার ৩১ অক্টোবর সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন।
দাখিল করা বিবরণীতে তার নামে অর্জিত অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ আট লাখ টাকা। তার নামে অর্জিত স্থাবর অস্থাবর সম্পদের মূল্য এক কোটি ৫৬ লাখ ৫৫ হাজার টাকা। দুদক অনুসন্ধানে পাওয়া রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় পারভীন আক্তারের নামে অর্জিত সম্পদের বিপরীতে গ্রহণযোগ্য জ্ঞাত আয়ের উৎস পাওয়া যায় ৩০ লাখ ২১ হাজার ৫৬৯ টাকা। জ্ঞাত আয় বর্হিভূত এক কোটি ২৬ লাখ টাকার সন্ধান পায় দুদক। সম্পদ বিবরণীতে তিনি ২৭ লাখ ৯৫ টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করেন। ২০১৮ সালের ১৮ মার্চ দুদকের উপ-পরিচালক ফরিদুর রহমান রমনা থানায় মামলা দায়ের করেন। সেলিম মোল্যার বিরুদ্ধেও রমনা থানায় পৃথক মামলা করে দুদক। ২০১৯ সাললর ২৩ অক্টলবর পারভীন আক্তারের মামলাটি তদন্ত করে উপপরিচালক কে এম মিছবাহ উদ্দিন আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ৬ সাক্ষীর জবানবন্দি নিয়ে আদালত রায় ঘোষণা করেন।
সারাবাংলা/এআই/একেএম