সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার নথি হারানোর ঘটনায় হাইকোর্টের রুল
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৪:২৫
ঢাকা: চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার নথি হারানোর ঘটনায় কেন তদন্ত কমিটি গঠন করতে নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে দ্রুত সময়ের মধ্যে নথি খুঁজে বের করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খন্দকার দিলীরুজ্জামানের বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলসহ সংশ্লিষ্ট ছয়জনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল হারুন ভূঁইয়া। তিনি জানান, আদালত দ্রুত সময়ের মধ্যে এ মামলার নথি খুঁজে বের করতে নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি মামলার নথি হারিয়ে যাওয়ার বিষয়ে কেন একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে না, সেই মর্মে রুল জারি করেছেন আদালত।
এর আগে গত ৩০ জানুয়ারি এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল হারুন ভূঁইয়া। নোটিশের জবাব না পেয়ে গত ৭ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন তিনি। রিটে একটি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করা হয়।
পত্রিকায় প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরীকে ১৯৯৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর বনানীর ক্লাব ট্রামসের নিচে গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় তার বড় ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী গুলশান থানায় মামলা করেন। ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই ডিবি পুলিশ ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়। ২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর ওই মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়। পরে বিচারের জন্য পাঠানো হয় ২ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে।
মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আসামি আদনান সিদ্দিকি ২০০৩ সালের ১৯ নভেম্বর হাইকোর্টে রিট করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ২০০৪ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুলসহ আদেশ দেন।
বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর বেঞ্চ শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ৫ আগস্ট রায় দেন। রায়ে রুলটি খারিজ করে দেওয়া হয়। প্রত্যাহার করা হয় হাইকোর্টের দেওয়া স্থগিতাদেশও। কিন্তু সেই রায় আর নিম্ন আদালতে পৌঁছায়নি। সেই মামলার নথিও খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
সারাবাংলা/কেআইএফ/এনএস