বিড়িতে অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহারের দাবি

ঢাকা: বিড়ির ওপর অর্পিত ১০ শতাংশ অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশন।

সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘শিল্প বাঁচাও, শ্রমিক বাঁচাও’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ দাবি জানানো হয়। বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশন এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

ফেডারেশনের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. হারিক হোসেনের সঞ্চালনায় সভায় সভাপতিত্ব করেন ফেডারেশনের সহ-সভাপতি মো. লোকমান হাকিম। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান। উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি নাজিম উদ্দীন, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল গফুর, প্রচার সম্পাদক শামীম ইসলাম, কার্যকরী সদস্য আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, দেশের প্রাচীন শ্রমঘন বিড়ি শিল্পে সমাজের অসহায়, সুবিধাবঞ্চিত, হতদরিদ্র, শারীরিক বিকলঙ্গ, বিধবাসহ লাখ লাখ শ্রমিক কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। অথচ বিদেশি বহুজাতিক কোম্পানির ষড়যন্ত্রে এই শিল্পটি ধ্বংস করা হচ্ছে। বহুজাতিক কোম্পানিগুলো এদেশের মানুষের ফুসফুস পুড়িয়ে বিদেশে হাজারো কোটি টাকা পাচার করছে। এদেশীয় কিছু দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তা বিদেশি বহুজাতিক কোম্পানির কাছে সুবিধা পেয়ে বিড়ির ওপর মাত্রাতিরিক্ত করের বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছে। এতে বিড়ি মালিকরা করের বোঝা সহ্য করতে না পেরে কারখানা বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছে। শ্রমিকরা মানবেতর বেকার জীবনযাপন করছেন।

বক্তারা আরও বলেন, বিদেশি সিগারেট কোম্পানিগুলোকে একচেটিয়া ব্যবসার সুযোগ করে দিতে কতিপয় অসাধু আমলা বিড়ির ওপর ষড়যন্ত্রমূলকভাবে শুল্ক বৃদ্ধি করছে। এমনকি বিড়ি শিল্প ও শ্রমিক ধ্বংস করতে বিড়ি শ্রমিকদের প্রকৃত সংখ্যা গোপন করে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়। বিড়ি শ্রমিকদের নিয়ে ষড়যন্ত্র হলে কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হব।

এ সময় আগামী বাজেটে বিড়িতে শুল্ক কমানো, বিড়ির ওপর অর্পিত ১০ শতাংশ অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহার, সরেজমিনে পরিদর্শন ব্যতিরেখে বিড়ি কারখানার লাইসেন্স না দেওয়া, কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে আইনি প্রক্রিয়ায় নকল বিড়ি বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়া এবং বিড়ি শিল্পে নিয়োজিত শ্রমিক ও মালিকদের সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করার দাবি জানান শ্রমিক নেতারা।

সারাবাংলা/ইএইচটি/এএম

বিড়ি