মৃগী রোগীদের নিউরোলজি বিশেষজ্ঞের চিকিৎসা নেওয়ার আহ্বান
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৬:৫৯
চট্টগ্রাম ব্যুরো: ‘আন্তর্জাতিক মৃগীরোগ দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত এক সেমিনারে চিকিৎসকেরা বলেছেন, ৯০ শতাংশ মৃগী রোগী ওষুধ খেয়েই সুস্থ হয়ে যায়। দুই থেকে পাঁচ বছর ওষুধ খেলে কমপক্ষে ৭০ শতাংশ রোগী রোগমুক্ত হয়ে যায়।
সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ শিক্ষক সমিতি ও নিউরোলজি বিভাগ এ সেমিনারের আয়োজন করে। চমেকের ডা. শাহআলম বীরউত্তম মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চমেকের নিউরোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. হাসানুজ্জামান ও সহযোগী অধ্যাপক ডা. পঞ্চানন দাশ।
সেমিনারে মো. হাসানুজ্জামান বলেন, ‘মৃগী রোগ নিয়ে সমাজে অনেক কুসংস্কার প্রচলিত আছে। কিন্তু কেবল রোগের ইতিহাস ও খিঁচুনির ভিডিও দেখে কোনো ধরনের ব্যয়বহুল পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই এই রোগ নির্ণয় করা সম্ভব। ৯০ শতাংশ রোগী ওষুধ খেয়েই সুস্থ থাকে। ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ রোগী দুই থেকে পাঁচ বছর ওষুধ খেয়ে রোগমুক্ত হয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারে। মৃগীরোগে আক্রান্ত নারীরা গর্ভধারণের আগে ও গর্ভকালীন নিউরোলজি বিশেষজ্ঞের পরামর্শে নিয়মিত ওষুধ খেয়ে সুস্থ থাকতে পারবেন এবং সুস্থ বাচ্চা জন্ম দিতে পারেন।’
নিউরোসার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. এস এম নোমান খালেদ চৌধুরী বলেন, ‘ব্রেন টিউমার, মস্তিস্কের আঘাতসহ বিভিন্ন নিউরোসার্জিক্যাল রোগের কারণে খিঁচুনি হতে পারে, যা সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে নিরাময় সম্ভব।’
প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. ফাহমিদা রশিদের সঞ্চালনায় এসময় চমেক উপাধ্যক্ষ ডা. হাফিজুল ইসলাম, চমেক শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মনোয়ার উল হক শামীম, নিউরোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. প্রদীপ কুমার কায়স্থগীর, ডা. শিউলি মজুমদার, সহকারী অধ্যাপক ডা. মাহবুবুল আলম খন্দকার, ডা. মসিহুজ্জামান আলফা, ডা. তৌহিদুর রহমান, ডা. জামান আহম্মদ, ডা. একরামুল আজম, কনসালট্যান্ট ডা. সীমান্ত ওয়াদ্দাদার, রেজিস্ট্রার ডা. পীযুষ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে আন্তর্জাতিক মৃগীরোগ দিবস উপলক্ষে শোভাযাত্রা বের করে চমেকের নিউরোলজি বিভাগ।
সারাবাংলা/আরডি/টিআর