ভালোবাসা দিবসে পথশিশুদের পাশে রাবি শিক্ষার্থী সজল
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২৩:২২
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়: সমাজের প্রতিটি শিশুরই আদর, স্নেহ-ভালোবাসা পাওয়ার অধিকার রয়েছে। কিন্তু প্রতিটি শিশু সমানভাবে সেই স্নেহ-ভালোবাসা পায় না। সুবিধা বঞ্চিত ও পথশিশুরা আমাদের সমাজেরই একটা অংশ।
বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে সমাজের এই সুবিধা বঞ্চিত ও পথশিশুদের মুখে হাসি ফোটানোর মাধ্যমে ভালোবাসা দিবস উদযাপন করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থী আবু সাঈদ সজল। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের মাস্টার্সের এই শিক্ষার্থী দৈনিক আলোকিত ভোর পত্রিকারও সম্পাদক।
প্রতিনিয়ত দুঃখকে সঙ্গী করে চলা পথশিশুদের দুঃখগুলোকে কিছু সময়ের জন্য হলেও ভুলিয়ে দিতে সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টা থেকে রাজশাহীর ভদ্রা সংলগ্ন বস্তিতে পথশিশুদের সাথে গল্প, আড্ডা আর গানে মেতে ওঠেন তিনি।
এ সময় সুবিধাবঞ্চিত এসব শিশুরাও গান আর কবিতা উপস্থাপনের মাধ্যমে বুঝিয়ে দেয় পর্যাপ্ত সুযোগ পেলে তারাও নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে পারবে। প্রায় দুই ঘণ্টার গান গল্প শেষে সন্ধ্যা ছয়টায় অর্ধশতাধিক শিশুর মাঝে ফুল, কেক এবং নাস্তা বিতরণের মাধ্যমে আয়োজনের সমাপ্তি হয়।
সুবিধা বঞ্চিত শিশু ফারুক বলে, ‘সব মানুষ আমাদের ভালোবাসে না। আমাদের থাকার মতো কোনো বাড়ি-ঘর নাই, আমরা এই টার্মিনালেই থাকি। সবাই দিনটা উপভোগ করলেও আমরা পারি না। যখন সজল ভাই আমাদের জন্য খাবার এবং ফুল আনছে, জানতে পেরে আমরা খুব খুশি হয়েছি। আজ ভাইয়ের এগুলো পেয়ে আমরা অনেক খুশি।’
ব্যতিক্রমধর্মী এই আয়োজন সম্পর্কে আবু সাঈদ সজল বলেন, ‘ভালোবাসাটা শুধু নিজের পরিবার, আপনজন বা নির্দিষ্ট ব্যক্তিবর্গের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা উচিত নয়। আমি চাই ভালোবাসা ছড়িয়ে পড়ুক সকলের মাঝে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সুবিধা বঞ্চিত ও পথশিশুদের পাশে দাঁড়ানো সমাজের প্রতিটি মানুষেরই কর্তব্য। আমার দায়বদ্ধতা থেকেই সুবিধা বঞ্চিত ও পথশিশুদের পাশে দাঁড়িয়েছি। তাদের পাশে দাঁড়ানোর অনুভূতিটা সবাই ফিল করতে পারে না। সমাজের প্রতিটি মানুষ যদি তাদের পাশে দাঁড়ায় তাহলে সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা আর অবহেলিত থাকবে না। তারাও এক সময় স্বাবলম্বী হয়ে দেশের গুরুত্বপূর্ণ মানব সম্পদে পরিণত হবে।’
উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানটির সার্বিক সহযোগিতায় ছিল স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘স্বপ্ন ফেরি’।
সারাবাংলা/পিটিএম