‘হুদা কমিশনের চেয়েও বড় কোনো বেহুদা কমিশন গঠনের চেষ্টা চলছে’
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৮:০৯
ঢাকা: হুদা (কে এম নূরুল হুদা) কমিশনের চেয়ে বড় কোনো ‘বেহুদা’ কমিশন গঠনের চেষ্টা চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা আকরাম খাঁ হলে আয়োজিত ‘নির্বাচন কমিশন গঠনের নাটক এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন শীর্ষক’ আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ‘জাতীয়তাবাদী প্রজন্ম-৭১’ এই আলোচনা সভা আয়োজন করে।
রিজভী বলেন, এই সার্চ কমিটি হুদা (কে এম নুরুল হুদা) কমিশনের চেয়ে বড় কোনো ‘বেহুদা’ কমিশন গঠনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এই চেষ্টার মূল উদ্দেশ্য দেশের জনগণকে শোষণ করা। বিদায়ী নির্বাচন কমিশনের একজন সদস্য শুদ্ধ উচ্চারণ করেছেন। বস্তুত শুধু লাশ নয়, গণতন্ত্রের লাশ শুকিয়ে কঙ্কাল হয়ে গেছে। এরপর মাটির সঙ্গে মিশে যাবে কঙ্কালের হাড়গোড়ও। সেই পরিস্থিতি তারা (সরকার) তৈরি করছে।
‘আমার কোনো ব্যর্থতা নেই’— বিদায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় রিজভী বলেন, ‘ঠিকই বলেছেন বিদায়ী সিইসি। আমি মনে করি সিইসি কে এম নূরুল হুদার কোনো ব্যর্থতা নেই। তিনি সফল। কারণ, ইভিএম মেশিন কিনতে যে শত শত কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে— এটি কে এম নূরুল হুদার সফলতা। ইসি কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের জন্য যে বিশেষ বক্তব্যের আয়োজন করে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে— সেটি তো তারই সফলতা। সুতরাং তার কোনো ব্যর্থতা নাই।’
আওয়ামী লীগের জেনেটিক ব্লাডের মধ্যে নাৎসিবাদ-ফ্যাসিবাদের উৎস রয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ঐতিহ্যগতভাবে নাৎসিবাদ ও ফ্যাসিবাদের উপাসনা করে। সুতরাং এদের কাছ থেকে গণতন্ত্র আশা করা যায় না।’
সাংবাদিক দম্পত্তি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডে সরকারের ‘রুই-কাতলা’ জড়িত আছে মন্তব্য করে রিজভী বলেন, ‘হত্যাকারীদের খুঁজে বের করতে পারে না তাহলে কীসের সরকার। সরকার যদি গণতান্ত্রিক হতো, গণতন্ত্রের প্রতি ন্যূনতম শ্রদ্ধা থাকত, তাহলে এই সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচনে ব্যর্থতার কারণেই তারা পদত্যাগ করত।’
তিনি বলেন, ‘এই সরকার অবৈধ। তাই তাদের সব কার্যক্রমও অবৈধ। বৈধ হবে তখনই, যখন স্বচ্ছ নির্বাচন হবে।’
দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘প্রতিদিন শত শত নেতাকর্মীকে কোর্টে হাজিরা দিতে হয়। এই যে নির্যাতন, এটি থেকে বাঁচতে ঝাঁক বেঁধে রাজপথে নামতে হবে। আন্দোলনের ডাক আসছে। কে দেখল বা কে দেখল না, সেটি দেখার বিষয় না। একবারে ঝাঁক বেঁধে নেমে এ সরকারকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তারপর একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করে স্বচ্ছ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।’
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ঢালী আমিনুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমতুল্লাহ, খন্দকার আব্দুল হামিদ ডাবলুসহ অন্যরা।
সারাবাংলা/এজেড/টিআর