রফতানি সহায়তায় আয়কর না কাটার প্রস্তাব দেবে বিজিএমইএ

ঢাকা: পোশাক রফতানির বিপরীতে সরকারের দেওয়া নগদ সহায়তায়তা ক্ষেত্রে আয়কর কর্তন না করার প্রস্তাব দেবে পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। সেইসঙ্গে পোশাক শিল্পের জন্য রফতানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে কর দশমিক ৫০ শতাংশ আগামী ৫ বছর পর্যন্ত কার্যকর রাখার প্রস্তাব রয়েছে। এছাড়া পোশাক শিল্পের জন্য করপোরেট ট্যাক্স হার ১২ শতাংশ এবং গ্রিন কারখানার জন্য ১০ শতাংশ আাগামী ৫ বছর পর্যন্ত বলবৎ রাখারও প্রস্তাব দেবে সংগঠনটি।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আয়োজিত প্রাক বাজেট আলোচনায় বিজিএমইএর পক্ষ থেকে এমন প্রস্তাব দেওয়া হবে। বিজিএমইএ’র তৈরি বাজেট প্রস্তাবের খসড়া থেকে এমন তথ্য জানা গেছে।

প্রস্তাবনায় দেখা গেছে, রফতানিসংশ্লিষ্ট স্থানীয়ভাবে সংগৃহীত প্রস্তাবিত পণ্য ও সেবার ক্ষেত্রে ভ্যাট হতে অব্যাহতি চাওয়া হয়েছে। এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে ছাপাখানা (প্রিন্টিং), কুরিয়ার বা এক্সপ্রেস মেইল সার্ভিস, অডিট অ্যান্ড একাউন্টিং ফার্ম ও ফেয়ার ট্রেডের মতো আরও কিছু সেবা। রফতানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্পের রফতানির জন্য সাব-কন্ট্রাক্টের বিপরীতে ভ্যাট আদায় না করারও প্রস্তাব রয়েছে। এছাড়া রফতানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্পের জন্য রফতানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে কর দশমিক ৫০ শতাংশ আগামী ৫ বছর পর্যন্ত কার্যকর রাখার প্রস্তাব করা হচ্ছে।

রফতানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্পের জন্য করপোরেট ট্যাক্স হার ১২ শতাংশ এবং গ্রিন কারখানার জন্য ১০ শতাংশ আাগামী ৫ বছর পর্যন্ত বলবৎ রাখার প্রস্তাব রয়েছে। কোম্পানির কর হারের পরিবর্তে স্ব স্ব শিল্প ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হারে কর আরোপ করা এবং রফতানির বিপরীতে প্রদত্ত নগদ সহায়তার উপরে আয়কর কর্তনের হার ১০ শতাংশ থেকে হ্রাস করে শূন্য শতাংশ নির্ধারণ করার প্রস্তাব করবে সংগঠনটি। এছাড়া বেশকিছু এইচএস কোডে পরিবর্তন আনার প্রস্তাব করবে বিজিএমইএ।

সারাবাংলা/ইএইচটি/পিটিএম

বিজিএমইএ