Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

২৬ ফেব্রুয়ারি যেসব স্থানে মিলবে ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৬:৩১

ঢাকা: দেশে নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ প্রয়োগের কার্যক্রম শেষ হবে ২৬ ফেব্রুয়ারি। এই কর্মসূচিতে সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষকে ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ দেওয়ার জন্য ইউনিয়ন থেকে শুরু করে জেলা পর্যায় পর্যন্ত নেওয়া হয়েছে নানারকম পরিকল্পনা। যারাই নিকটস্থ কেন্দ্রে যাবেন তাদের সবাইকেই ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ দেওয়ার নির্দেশনা ইতোমধ্যেই স্থানীয় প্রতিনিধি, প্রশাসন ও সিভিল সার্জন কার্যালয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদফতরের ভার্চুয়াল বুলেটিনে এ তথ্য জানান প্রতিষ্ঠানটির সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই) এর পরিচালক ডা. মো. শামসুল হক।

তিনি বলেন, ‘২৬ ফেব্রুয়ারি একদিনে এক কোটি ব্যক্তিকে প্রথম ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এজন্য প্রতিটি ইউনিয়নে তিনটি কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সদস্যরা এসব স্থান নির্ধারণ করবেন। এক্ষেত্রে স্কুল, ইউনিয়ন পরিষদ ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র হতে পারে।

তিনি আরও বলেন, ‘পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে তিনটি করে দল থাকবে। সেদিন নির্ধারিত কেন্দ্রের বাইরেও প্রতি উপজেলায় পাঁচটি, প্রতি জেলায় ২০টি করে ভ্রাম্যমাণ দল থাকবে। ইউনিয়ন, পৌরসভা ও উপজেলার দলগুলো ৩০০ জন এবং সিটি করপোরেশনের দলগুলো ৫০০ জন করে ব্যক্তিকে ভ্যাকসিন দেবে।’

ডা. শামসুল হক বলেন, ‘ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের প্রতিটি জোনে ৩০টি, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রতিটি জোনে ৪০টি, বরিশাল, সিলেট, কুমিল্লা এবং ময়মনসিংহে প্রতিটি জোনে ৬০টি করে ভ্রাম্যমাণ দল থাকবে।’ এছাড়াও খুলনা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম এবং রংপুরের প্রতিটি জোনে অতিরিক্ত ২৫টি করে ভ্রাম্যমাণ দল থাকবে বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, ‘আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারির আগ পর্যন্ত প্রথম ডোজের ভ্যাকসিন কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। যাদের জন্মনিবন্ধন ও পাসপোর্ট নেই তারা ২৬ ফেব্রুয়ারির আগে সরাসরি হাসপাতাল ও সুবিধা অনুযায়ী নিকটস্থ কেন্দ্রে গিয়ে ভ্যাকসিন নিতে পারবেন। মোবাইল নম্বরের মাধ্যমে তাদের তথ্য নথিভুক্ত করে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। এমন ব্যক্তিদের একটি কার্ড দেওয়া হবে। এই কার্ডই ভ্যাকসিনের প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করা যাবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘২৬ ফেব্রুয়ারি আমরা বড় আকারে একটি ভ্যাকসিন ক্যাম্পেইন কর্মসূচি পরিচালনা করব। ওই দিন যদি এক কোটিরও অধিক মানুষ প্রথম ডোজ নিতে আসে, সেটিও আমরা দেব।’

ডা. শামসুল বলেন, ‘২৬ ফেব্রুয়ারি ভ্যাকসিন পেতে কোনো রকম নিবন্ধন লাগবে না। জন্মনিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র কিছুই লাগবে না। যাদের আছে তারা প্রয়োজনে নিবন্ধন করে আসতে পারেন। পাশাপাশি নিয়মিত ভ্যাকসিন কেন্দ্রগুলোতে কার্যক্রম চলবে।’

তিনি বলেন, ‘লক্ষ্যপূরণের জন্য আমাদের প্রস্তুতি আছে। আমি সবাইকে আশ্বস্ত করতে চাই যে, আমাদের ভ্যাকসিনের মজুদ আছে পর্যাপ্ত।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রথম ডোজের ভ্যাকসিনকে একটা ধারায় আনতে ২৬ ফেব্রুয়ারি শেষ করা হবে। এর পর প্রথম ডোজের ভ্যাকসিন কার্যক্রম আমরা বন্ধ রাখব। তখন দ্বিতীয় ডোজ ও বুস্টার ডোজের কার্যক্রম চালু থাকবে। কারণ দ্বিতীয় ডোজ ও বুস্টার ডোজও একটি বড় টার্গেট, এটিও আমাদের পূরণ করতে হবে।’

ডা. শামসুল বলেন, ‘ভ্যাকসিন নিলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে, মাস্ক পরতে হবে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে এবং বারবার হাত ধুতে হবে। এতে নিজেও সুরক্ষিত থাকবেন, দেশও সুরক্ষিত থাকবে।’

সারাবাংলা/এসবি/পিটিএম

টপ নিউজ প্রথম ডোজ ভ্যাকসিন


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর