মেয়ের জন্মসনদ আনতে গিয়ে ফেরা হলো না বাবার
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৬:৪৮
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে সিএনজি অটোরিকশা ও লেগুনা গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষে এক প্রকৌশলী মর্মান্তিকভাবে প্রাণ হারিয়েছেন। তিনি মেয়ের জন্মসনদ আনতে গিয়েছিলেন। এদিকে, একই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন অটোরিকশার চালকসহ আরও চারজন।
বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাউজান উপজেলার নোয়াপাড়া কমলার দিঘীর পাড় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
নিহত পাপন বড়ুয়া শাকিলের (৪১) বাড়ি রাউজান উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নে। বাসা নগরীর মোহাম্মদপুর আবাসিক এলাকায়। কাপ্তাইয়ের সুইডন-বাংলাদেশ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে ডিপ্লোমা সম্পন্ন করা পাপন পিএইচপি গ্রুপে জ্যেষ্ঠ প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
সংবাদপত্রে লেখালেখি এবং সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় চট্টগ্রামে তার সুপরিচিতি ছিল। এছাড়া তিনি ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের চট্টগ্রাম শাখার নির্বাহী কমিটিতে দফতর সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছিলেন।
রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল হারুন সারাবাংলাকে বলেন, ‘অটোরিকশায় পাপন বড়ুয়া ও চালকসহ পাঁচজন ছিল। সেটি চট্টগ্রাম শহরের কাপ্তাই রাস্তার মাথা থেকে রাউজানের দিকে যাচ্ছিল। বিপরীতমুখী লেগুনা গাড়ির সঙ্গে এর সংঘর্ষে পাপন বড়ুয়া ঘটনাস্থলেই মারা যান। অটোরিকশার চালক গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আরও চার যাত্রী শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাত পেয়েছেন।’
নিহত পাপনের লাশ উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি হারুন।
পাপনের চাচাতো ভাই সরোজ কান্তি বড়ুয়া সারাবাংলাকে জানান, স্ত্রী, ভাইবোন ছাড়াও তার সাড়ে তিন বছর বয়সী এক মেয়ে আছে। মেয়ের জন্মসনদ নিতে তিনি বাগোয়ান ইউনিয়ন পরিষদে যাচ্ছিলেন। কর্মক্ষেত্রের নিয়ম অনুযায়ী বুধবার পাপনের ছুটির দিন।
সারাবাংলা/আরডি/পিটিএম