সারের দাম বাড়ানোর কোনো প্রস্তাব আসেনি: অর্থমন্ত্রী
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৬:৫২
ঢাকা: সারের দাম বাড়ানোর বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে কোনো প্রস্তাব যায়নি বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
তিনি বলেন, দেশে সারের দাম বাড়ানোর বিষয়ে কোনো প্রস্তাবনা অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে আসেনি। সারের দাম বাড়ানোর কথা কে বলেছে? কেউ যদি (সারের দাম বাড়ানোর) ইঙ্গিত দিয়ে থাকেন, সেটি আমার জানা নেই।
বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এর আগে, কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, সারে ২৮ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হয়। কিন্তু বাজেটে বরাদ্দ আছে মাত্র ৯ হাজার কোটি টাকা। ভর্তুকির বাকি টাকা কোথা থেকে আসবে, সরকার সে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে ভাবছে বলে জানান তিনি। এরপর থেকেই মূলত সারের দাম বাড়ানোর বিষয়টি নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়।
এ পরিস্থিতিতে সারের দাম বাড়ানোর বিষয়ে কোনো প্রস্তাবনা এসেছে কি না— এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, সারের দাম বাড়ানোর কথা কে বলেছে? উনি (কৃষিমন্ত্রী) যদি ইঙ্গিত দিয়ে থাকেন, সেটি আমার জানা নেই। আপনারা কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করুন।
মুস্তফা কামাল বলেন, আমরা অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে সবসময় দেশের, সরকারের ও জনগণের অর্থ দেখাশোনা করে থাকি। এর ব্যবস্থাপনার দায়িত্বটি আমাদের। এখন সবাই যদি সাশ্রয়ী হন, অপ্রয়োজনীয় জিনিস যেন না কেনেন— এ বিষয়গুলো সবাইকে দায়িত্ব নিয়ে করতে হবে। দিন শেষে অর্থ মন্ত্রণালয়কে বিভিন্ন উপায়ে অর্থের জোগান দিতে হয়। যদি এভাবে ঘাটতি পড়তে থাকে, তাহলে ঘাটতি পূরণের জন্য ব্যবস্থা নিতে হবে।
সারে ভর্তুকি কমানোর জন্য কোনো পরামর্শ রয়েছে কি না— এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, এই মুহূর্তে টোটাল অ্যামাউন্ট কী পরিমাণ লাগবে, সেটা আমি জানি না। দাম বাড়ানো বা কমানোর কোনো প্রস্তাব আমাদের কাছে আসেনি। এলে হয়তো জানতে পারতাম, কী পরিমাণ অর্থ লাগবে। আমার সে পর্যন্ত (প্রস্তাব পাওয়া পর্যন্ত) অপেক্ষা করতে হবে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, আনসার ভিডিপি ব্যাংক থেকে সাহায্য সহযোগিতা চাচ্ছে— এ বিষয়ে আমি এখনো কোনো চিঠি পাইনি। তবে আমাদের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে যোগাযোগ করে দেখব আমরা কবে চিঠি পেয়েছি। যদি আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের বিবেচনায় তাদের প্রস্তাবনা যথাযথ হয়, তাহলে অবশ্যই তাদের জন্য ব্যবস্থা করা হবে।
ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভার তথ্য তুলে ধরে আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, আজ (বুধবার) সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ষষ্ঠ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রস্তাবনাগুলোর মধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের দু’টি, বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের একটি, স্থানীয় সরকার বিভাগের একটি এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের একটি প্রস্তাবনা আমরা বিবেচনায় নিয়েছি।
তিনি বলেন, ক্রয় সংক্রান্ত কমিটির অনুমোদিত চারটি প্রস্তাবে মোট অর্থের পরিমাণ ৪৯২ কোটি ৪৭ লাখ ৭৩ হাজার ৪৭৭ টাকা। মোট অর্থায়নের মধ্যে জিওবি (সরকারি তহবিল) থেকে ব্যয় হবে ৭৮ কোটি ৫২ লাখ ছয় হাজার ২৫০ টাকা এবং দেশীয় ব্যাংক ও বিশ্বব্যাংকের ঋণ থেকে ব্যয় হবে ৪১৩ কোটি ৯৫ লাখ ৬৭ হাজার ২২৭ টাকা।
সারাবাংলা/জিএস/টিআর
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সারের দাম সারের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব