বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের আগ পর্যন্ত আ.লীগে পদ পাবেন না কেউ
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২১:১৫
ঢাকা: দল থেকে বহিষ্কার হওয়া কেউ বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার হওয়ার আগ পর্যন্ত কোনো পদে আসতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা।
তারা জানিয়েছেন, যাদের কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হয়েছে, তাদের নোটিশের জবাব সন্তোষজনক না হলে তাদের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য হবে। পাশাপাশি আগামী তিন মাসের মধ্যে খুলনা বিভাগের সব সাংগঠনিক ইউনিটের সম্মেলন করে তৃণমূল থেকে জেলা পর্যন্ত সংগঠনকে গতিশীল করার পরিকল্পনার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে খুলনা বিভাগের সাংগঠনিক জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, দলীয় সংসদ সদস্য এবং জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদের সঙ্গে খুলনা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভার্চুয়াল বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
সভায় ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য অ্যাডভোকেট মো. আমিরুল আলম মিলন, পারভিন জামান কল্পনা ও গ্লোরিয়া সরকার ঝর্ণা।
বৈঠক সূত্র বলছে, বৈঠকে নেতারা বলেছেন, এরই মধ্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সভা হয়েছে। সেই সভায় আওয়ামী লীগ সভাপতি কিছু দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। সেই নির্দেশনার মূল বক্তব্য হলো— তৃণমূল পর্যায়ে সম্মেলন করতে হবে, সংগঠনকে নতুন করে ঢেলে সাজাতে হবে।
নেতারা বলেন, যারা দলের নির্দেশনা মানে না, তাদের বিষয়ে আগে থেকেই নির্দেশনা আছে। যারা বহিষ্কার, সাময়িক বহিষ্কার হয়েছে বা যাদের কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হয়েছে, নিষ্পত্তি হওয়ার আগ পর্যন্ত তাদের দলের কোনো পর্যায়ের নেতৃত্বে আনা যাবে না। এ বিষয়গুলো এবং আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে দলকে গণমুখী করে ঢেলে সাজানো হবে, যেন দলের নতুন নেতৃত্বের ওপর জনগণের প্রত্যাশারা জায়গাটি আরও শক্তিশালী ও সুদৃঢ় হয়। এ লক্ষ্যে তৃণমূলের সম্মেলন করতে হবে।
বৈঠকে উপস্থিত নেতারা আরও বলেন, যাদের কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হয়েছে, তাদের নেতৃত্বে আনার কোনো সুযোগ নেই। দলের দায়িত্বশীল কোনো পদেই তারা আসতে পারবে না। তবে যাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার হয়েছে, তাদের সংগঠনে জায়গা দেওয়ার সুযোগ আছে। যাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে, সেই নোটিশ নিষ্পত্তি হলে তারাও পদে আসতে পারেন।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে সাংগঠনিক অনেক কাজ করা সম্ভব হয়নি বলে ২১ ফেব্রুয়ারির পর সাংগঠনিক কার্যক্রম গতিশীল করা হবে বলেও অবহিত করেন নেতারা। খুলনা বিভাগের চার জেলায় সম্মেলন বাকি আছে। বাকি আটটি সাংগঠনিক জেলায় সম্মেলন হলেও অনেক উপজেলা সম্মেলন বাকি আছে। আগামী তিন মাসে অর্থাৎ মার্চ, এপ্রিল ও মে মাসের মধ্যে এসব ইউনিটের সম্মেলন শেষ করার তাগিদ দেন নেতারা। প্রয়োজনে রমজান মাসেও কিছু উপজেলার সম্মেলন করা যেতে পারে বলে জানান তারা।
আওয়ামী লীগ নেতারা আরও বলেন, তিন মাসের মধ্যে খুলনা বিভাগের সব সাংগঠনিক ইউনিটের সম্মেলন করে তৃণমূল থেকে জেলা পর্যন্ত পুনর্বিন্যস্ত করার কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে।
সারাবাংলা/এনআর/টিআর