ই-কমার্সকে উৎসে করের আওতা বহির্ভূত রাখার প্রস্তাব ই-ক্যাবের
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২০:৪১
ঢাকা: ই-কমার্স খাতকে উৎসে করের আওতা বহির্ভূত রাখার প্রস্তাব দিয়েছে ই-কমার্স ব্যবসায়ীদের সংগঠন ই-ক্যাব। পাশাপাশি ই-কমার্স খাতের মার্কেটপ্লেস ও রিটেলারকে ভিন্নভাবে সংজ্ঞায়িত করা, ই-কমার্সের গুদামঘর বা ফুলফিলমেন্ট সেন্টারের ভাড়ার ওপর থেকে ভ্যাট প্রত্যাহার এবং প্রচলিত দোকানের সঙ্গে ই-কমার্সের ভ্যাট ট্যাক্স বৈষম্য নিরসনের দাবি জানিয়েছেন তারা। ই-ক্যাবের পক্ষ থেকে ভ্যাট প্রক্রিয়া ডিজিটালাইজড করার প্রস্তাবও করা হয়।
বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আসন্ন ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রাক-বাজেট আলোচনায় সংগঠনটির পক্ষে এ প্রস্তাব দেওয়া হয়।
রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মোহাম্মদ রাহমাতুল মুনিমের সভাপতিত্বে বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আলোচনায় অংশ নেন। ই-ক্যাবের ৮ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট শমী কায়সার।
ই-ক্যাবের উপস্থাপনায় বলা হয়, অর্থ আইন, ২০১৬ (৪৪)-এর ৪২সি অনুযায়ী নূন্যতম করের ক্ষেত্রে গ্রস রিসিপ্টস ন্যূনতম সীমা রয়েছে, তাদের জন্য শিল্প ধরন বিশেষে ন্যূনতম কর হার নির্ধারণ করা হয়। এক্ষেত্রে টেলিকম ও সিগারেট কোম্পানি ছাড়া অন্য সব কোম্পানির জন্য গ্রস রিসিপ্টসের ০.৬ শতাংশ নূন্যতম কর হার নির্ধারণ করা হয়। ই-কমার্স এখনো লাভজনক নয় বিধায় তাদের ক্ষেত্রে এটি শূন্য শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়।
ই-ক্যাবের প্রেসিডেন্ট শমী কায়সার বলেন, গত বছর সরকার আমাদের আমাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ই-বুক ও অনলাইন এডুকেশনের ওপর থেকে সব ধরনের ভ্যাট প্রত্যাহার করেছে। আমাদের আরও কিছু সমস্যা রয়েছে। যেমন— সোর্স ট্যাক্স ও কোনো ক্ষেত্রে দ্বৈত কর। এসব বিষয় আইনের ধারা উল্লেখ করে প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়েছে। আশা করছি রাজস্ব বোর্ড বিষয়টি বিবেচনা করবে। আমরাও রাজস্ব আদায়ে সরকারকে সহযোগিতা করতে চাই। কিন্তু সেটি এই খাতকে বাঁধাগ্রস্ত করে নয়।
ই-ক্যাবের অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুল হক বলেন, আমরা মনে করি ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল মানুষের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছানোর জন্য ই-কমার্স খাতের আরও প্রবৃদ্ধি প্রয়োজন। তাই ই-কমার্সবান্ধব বাজেট প্রণয়নে আমাদের দাবি আমরা তুলে ধরেছি। ই-ক্যাবের কোনো সদস্যকে ভ্যাট ও ট্যাক্স আদায়ের নামে রাজস্ব বোর্ড কর্মকর্তারা যেন হয়রানি না করেন, সে বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।
এছাড়া সরবরাহকারীর ভ্যাট চালান শর্ত প্রত্যাহার এবং টেকওয়ে বা অনলাইন ফুডের ওপর ভ্যাট ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ আরোপ করার প্রস্তাব করেছে ই-ক্যাব। এ প্রসঙ্গে ই-ক্যাবের প্রতিনিধিরা তাদের যুক্তি তুলে ধরেন এনবিআরের কাছে।
প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন আজকের ডিলের প্রধান নির্বাহী ফাহিম মাশরুর, রকমারি ডটকমের প্রধান নির্বাহী মাহমুদুল হাসান সোহাগ, ই-ক্যাব মহাব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর আলম শোভন, ফুডপান্ডার প্রতিনিধি আওরঙ্গজেব হোসেন, দারাজ প্রতিনিধি সামসুল আলম মাসুদসহ অন্যরা।
সারাবাংলা/ইএইচটি/টিআর