Saturday 23 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

৪ ভ্যাকসিন পাওয়া আদিবা উন্নত চিকিৎসার জন্য সদরে, থানায় জিডি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২১:২৩

নেত্রকোনা: নেত্রকোনার মদনে স্কুলশিক্ষার্থী আদিবা বিনতে আজিজকে একই দিনে করোনাভাইরাসের চার ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া অভিযুক্ত নার্সকে পাঁচ দিনেও শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। নির্ধারিত সময়ে তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দাখিল করতে না পারায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা মদন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। আদিবাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নেত্রকোনা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে আদিবাকে জেলা শহরে নিয়ে যান তার স্বজনরা। এর আগে, বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) তার মা থানায় জিডি করেছেন।

বিজ্ঞাপন

গত শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) নেত্রকোনার মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আদিবা বিনতে আজিজ নামের অষ্টম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে পর পর চার ডোজ করোনা ভ্যাকসিন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। পরদিন রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের ডা. অভিজিত লোহকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন নেত্রকোনা সিভিল সার্জন ডা. মো. সেলিম মিয়া। কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন- একদিনেই করোনা টিকার ৪ ডোজ, হাসপাতালে শিক্ষার্থী

মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) তদন্ত কমিটি মদন উপজেলা হাসপাতালে গিয়ে ঘটনাটি তদন্ত করেন। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি কমিটি। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা রাজিয়া সুলতানা বুধবার মদন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।

রাজিয়া সুলতানা বলেন, চার ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়ার পর তদন্ত কমিটি আমার মেয়ের লিখিত বক্তব্য নিয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত অভিযুক্ত নার্সকে শনাক্ত করা হয়নি। আমি বুধবার মদন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছি। অসুস্থবোধ করায় আমার মেয়েকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নেত্রকোনায় পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের শনাক্ত করে শাস্তির আওতায় আনার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানান তিনি।

বিজ্ঞাপন

জানতে চাইলে তদন্ত কমিটির প্রধান ডা. অভিজিত লোহ বলেন, ‘বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।’ অভিযুক্ত নার্সকে শনাক্ত করা হয়েছে কি না— এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তদন্তের সুবিধার্থে আপাতত এ বিষয়ে কিছু বলা যাবে না।’

এ প্রসঙ্গে মদন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বলেন, বিষয়টি তদন্ত কমিটি দেখবে। এ নিয়ে আমার কিছু বলার নেই।

জানতে চাইলে নেত্রকোনা সিভিল সার্জন ডা. মো. সেলিম মিয়া বলেন, শিক্ষার্থীকে চার ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়ার ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন এখনো পাইনি। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।

এদিকে, জিডি দায়েরের তথ্য স্বীকার করে মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফেরদৌস আলম বলেন, এক শিক্ষার্থীকে একইসঙ্গে চার ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়ার ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি হয়েছে। আমরা বিষয়টি দেখছি।

সারাবাংলা/টিআর

৪ ডোজ করোনা ভ্যাকসিন থানায় জিডি

বিজ্ঞাপন

মাদকের টাকার জন্য মা'কে খুন
২৩ নভেম্বর ২০২৪ ০৮:৫৭

আরো

সম্পর্কিত খবর