Sunday 08 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘মাদক কারবারিরা বিজিবির সঙ্গে ইঁদুর-বিড়াল খেলা খেলছে’

উজ্জল জিসান, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২২:৪৯

সাতকানিয়া (চট্টগ্রাম) থেকে: জলে-স্থলে উভয় দিকে পাহারা দেওয়ার পরও মাদক চোরাকারবারিরা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সঙ্গে ইঁদুর-বিড়াল খেলা খেলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম।

সীমান্ত পথে মিয়ানমার থেকে দেশে অনবরত আইস ঢোকার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি এই মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, ‘বিজিবির চোখ ফাঁকি দিয়ে চায়ের প্যাকেটের ভেতরে লুকিয়ে, মাছের বরফের সঙ্গে নতুন মাদক আইস আনছে মাদক চোরাকারবারিরা। এক্ষেত্রে তারা প্রতিনিয়তই নিত্য নতুন কৌশল অবলম্বন করছে। বিজিবি সদস্যরাও গোয়েন্দা তৎপরতা এবং প্রযুক্তির মাধ্যমে সীমান্তে আইসের চালান প্রতিহত করছে। জলে ও স্থলে উভয় দিকে পাহারা দেওয়ার পরেও মাদক নিয়ে চোরাকারবাররা বিজিবির সঙ্গে ইঁদুর-বিড়াল খেলা খেলছে।

সীমান্ত পথে মিয়ানমার থেকে দেশে অনবরত আইস ঢুকার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এমনটিই বলেছেন বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার বায়তুল ইজ্জতে অবস্থিত বিজিবি ট্রেনিং সেন্টার অ্যান্ড কলেজের (বিজিটিসিএন্ডসি) বীর উত্তম মুজিবুর রহমান প্যারেড গ্রাউন্ডে ৯৭তম রিক্রুট ব্যাচের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

বিজিবি ডিজি বলেন, ‘আইস সীমান্ত দিয়ে এলেও তা ঢাকায় যাচ্ছে। ঢাকার অভিজাত পরিবারের লোকেরা উচ্চমূল্যের এই মাদক সেবন করেন। যাদের অঢেল টাকা আছে তারা এই ভয়ঙ্কর মাদক গ্রহণ করছে। বর্তমানে এক কেজি আইস মাদকের দাম বাড়তে বাড়তে এক কোটি টাকায় উঠেছে। তাই যতদিন পর্যন্ত মাদকের চাহিদা কমানো ও এর বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা সম্ভব হবে না, ততদিন পর্যন্ত মাদকের চালানও ঠেকানো সম্ভব হবে না।’

মিয়ানমারের সঙ্গে অরক্ষিত এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার প্রসঙ্গে ডিজি বলেন, ‘অরক্ষিত এলাকায় ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি করা যায়, কাঁটাতারের বেড়াও দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু দুদিন পরে গিয়ে যদি দেখা যায়, কাঁটাতারের বেড়া চোরাকারবারিরা সরিয়ে ফেলেছে। তাহলে তো সমাধান হলো না। তাই আমরা সশরীরে প্রতিহত করতে চাই।’ তবে সীমান্ত সড়ক হয়ে গেলে চোরাচালানসহ এসব কমে আসবে বলেও মনে করেন তিনি।

মাদকসহ চোরাচালান কারবারিদের সঙ্গে কোনো বিজিবি সদস্য জড়িত নয়, এমনটি জানিয়ে মহাপরিচালক বলেন, ‘বিজিবি এ ব্যাপারে কঠোর। কোনো সদস্য জড়িত থাকার প্রমাণ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সক্ষমতায়, প্রশিক্ষণে ও অপারেশনাল কার্যক্রমে আমরা আকাশ ছু্ঁতে চাই। তবে আশা আছে, আরও বহদূর যাওয়ার, অনেক কিছু করার।’

সারাবাংলা/ইউজে/একে

আইস বিজিবি মাদক চোরাকারবারি


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর