Monday 25 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

চবি মেডিকেল সেন্টারে ভুল চিকিৎসার অভিযোগ শিক্ষার্থীদের

চবি করেসপন্ডেন্ট
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২২:০০

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) মেডিকেল সেন্টারে ভুল চিকৎসা দেওয়ার অভিযোগ করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ নিয়ে মেডিকেল সেন্টারও অবরোধ করেছেন তারা। সেইসঙ্গে প্রক্টরের মাধ্যমে উপাচার্য বরাবর লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে।

শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুর আড়াইটার দিকে অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। পরে প্রক্টরের আশ্বাসে বিকেল ৪টার দিকে সরে যান তারা।

অভিযোগের মধ্যে রয়েছে, চিকিৎসার মান খারাপ, ডাক্তাররা সময় মতো আসেন না এবং সহযোগিতাপূর্ণ মনোভাব নেই। নাপা ও প্রাজল সকল রোগের ওষুধ। কোন ওষুধ কীভাবে দেওয়া উচিত তা ডাক্তাররা দিতে পারেন না। বেসিক চিকিৎসা সরঞ্জাম ও টেস্ট যন্ত্রপাতি নেই; থাকলেও তা নষ্ট বা কাজ করে না।

এছাড়া অভিযোগের মধ্যে রয়েছে, প্যাথলজি বিভাগের কোনো কাজ নেই। ডাক্তাররা স্পেশালিস্ট কোন ক্ষেত্রে তার কোন সারণি নেই। ডাক্তাররা রিপোর্ট দেখে রেজাল্ট বলতে পারেন না। ছয়টি অ্যাম্বুলেন্স থাকার পরও মাত্র দুটি চলে। কোনো মনোচিকিৎসক নেই; যে কারণে আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়েছে। ব্লাড টেস্ট, ইসিজি, এক্সরে এ ধরনের কোনো সরঞ্জাম নেই।

অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়, চবি মেডিকেলের চিকিৎসার সার্বিকমান অস্বাভাবিকভাবে বাজে মানে নামছে। শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মামুনকে ভুল ঔষধ প্রয়োগ করায় সে মুমূর্ষু অবস্থায় চমেকে ভর্তি হতে বাধ্য হয়েছে। এছাড়া শ্রুতি চৌধুরী নামে সংস্কৃত বিভাগের একজন ছাত্রী জ্বর নিয়ে আসলে জ্বর মাপার ডিজিটাল থার্মোমিটারটিও নষ্ট থাকায় তাকে ভুল ওষুধ দেওয়া হয়।

বিজ্ঞাপন

কিছুদিন আগে অর্থনীতি বিভাগের বেলায়েতের সঠিক চিকিৎসা দিতে দেরি হওয়ায় চমেকে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়। এতে সিএমও (চিফ মেডিকেল অফিসার) দায় এড়ানোর জন্য মদ্যপানে মৃত্যু হয়েছে বলে প্রচার করেন। এর আগে মেহেদী হাসান নামে সমাজতত্ত্ব ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রকে ভুল চিকিৎসা দেওয়ার পর তিনি সুচিকিৎসা নিতে ভারত যেতে বাধ্য হন।

জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মামুন দুয়েকদিন আগে অসুস্থ হয়ে চবি মেডিকেল সেন্টারে গিয়ে চিকিৎসা নেয়। সেখানে চিকিৎসা নেওয়ার পরও সুস্থ হতে পারেননি। উলটো তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। পরে অসুস্থ অবস্থায় শহরে নিয়ে যাওয়ার জন্য আজ (শনিবার) দুপুর আড়াইটার দিকে মেডিকেল সেন্টারের অ্যাম্বুলেন্সের জন্য ফোন করা হয়। কিন্তু চবি মেডিকেল সেন্টার থেকে কোনো অ্যাম্বুলেন্স পাঠানো হয়নি। সেকারণে শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্ষোভ তৈরি হয়। এক পর্যায়ে মেডিকেল সেন্টারের ডাক্তার, স্টাফদের বের করে দিয়ে মূল ফটক বন্ধ করে অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা।

এ বিষয়ে জানতে চবি মেডিকেল সেন্টারের চিফ মেডিকেল অফিসার আবু তৈয়বকে একাধিকবার কল করা হলেও তার ফোনে সংযোগ পাওয়া যায়নি।

এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের দাবি-দাওয়া একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। আমরা তদন্ত কমিটি গঠন করে ব্যবস্থা নেব।’

সারাবাংলা/সিসি/পিটিএম

চবি মেডিকেল ভুল চিকিৎসা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর