ঢাকা: জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র একসঙ্গে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের জলবায়ু বিষয়ক বিশেষ দূত জন কেরির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে গতকাল শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্রমন্ত্রী একথা বলেন। রোববার (২০ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়।
এ বিষয়ে আব্দুল মোমেন বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় দীর্ঘমেয়াদী উদ্যোগ বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র একসঙ্গে কাজ করবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, উভয় দেশের নেতা বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানি বৃদ্ধির সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জি-৭ ভুক্ত দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, গ্রিন এনার্জি বাস্তবায়নের জন্য কম খরচের প্রযুক্তি দিয়ে বাংলাদেশ ও অন্যান্য জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে সহায়তা করলে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় সহজ হবে।
জন কেরি এ সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পরীক্ষা করা পারমাণবিক মডিউলার প্ল্যান্টের সম্ভাবনা সম্পর্কে জানান। তখন পররাষ্ট্রমন্ত্রী নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে চাকরির সুযোগ সৃষ্টির জন্য এবং সৌর শক্তিচালিত সরঞ্জাম পরিচালনায় দক্ষতার তৈরিতে দেশটিকে সহযোগিতা করতে আহ্বান করেন।
জবাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে বনায়ন ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদন ক্ষমতাসহ বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য পরিকল্পিত প্রকল্পে আগ্রহ দেখান জন কেরি। এই উদ্দেশে প্রাথমিক সম্ভাব্যতা সমীক্ষা পরিচালনায় মার্কিন সহায়তার আশ্বাসও দেন তিনি।
ড. মোমেন জরুরি বিষয়ে জলবায়ু সংক্রান্ত পদক্ষেপের জন্য বিজ্ঞানভিত্তিক পদ্ধতি গ্রহণের ওপর জন কেরির গুরুত্ব দেওয়ার প্রশংসা করেন।
আলোচনার শেষে, জন কেরি অন্যান্য সেক্টরের মধ্যে কঠিন বর্জ্য থেকে নির্গমন কমাতে সহায়তার সুবিধা লাভের উপায় হিসেবে গ্লোবাল মিথেন অঙ্গীকারে যোগ দেওয়ার জন্য বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানায়।
উল্লেখ্য, এই আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এর সাবেক ও বর্তমান কয়েকজন কর্মকর্তার উপর দেওয়া নিষেধাজ্ঞার বিষয়েও কথা বলেন।