ঢাকা: নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ট্রাকের গ্যাস সিলিন্ডারের আগুনে দগ্ধ সাত নারী ও শিশুকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে চার জনের অবস্থা আশংকাজনক। রোববার (২০ফেব্রুয়ারি) দুপুর দেড়টার দিকে ফতুল্লার পাগলায় ঘটনাটি ঘটে।
আগুনে দগ্ধরা হলেন- হাসিনা মমতাজ (৪৭), জজ মিয়া (৫০), মো. আলম (৪০), আসমা বেগম (৪৫), তাহমিনা আক্তার (১৮) সাথী আক্তার (২০) ও তার মেয়ে হাফসা আক্তার (৬)।
দগ্ধ জজ মিয়ার ভাই নাজমুল হাসান জানান, তাদের বাসা নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লার পাগলা আলীগঞ্জে। সবার বাসাই পাশাপাশি। ট্রাক মালিক আব্দুল বাতেন দুপুরে ট্রাকের একটি গ্যাস সিলিন্ডার তাদের বাসার কাছে রাখে। এক পর্যায়ে সেই সিলিন্ডারের গ্যাস খালি করতে গেলে আলম নামে এক জন জলন্ত সিগারেট সেটির পাশে ফেলে দেয়। এতে মুহূর্তের মধ্যেই আগুন লেগে যায়। এবং সেই আগুনেরর ফুলকি কয়েকটি বাড়ির মধ্য ঢুকে পড়ে। এতে বেশ কয়েক জন দগ্ধ হয়ভ। পরে তাদের দ্রুত ঢাকা শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়।
ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. পার্থ শংকর পাল বলেন, ‘শিশুসহ সাতজন দগ্ধ অবস্থায় ইনস্টিটিউটে নিয়ে এসেছে। দগ্ধদের মধ্যে আলমের ১০০ শতাংশ, জজ মিয়ার ৮০ শতাংশ, ও হাসিনা মমতাজের ৬৬শতাংশ, আসমার ৪১শতাংশ, হাফসার ১৬ শতাংশ সাথীর ৬ শতাংশ ও তাহমিনার ৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। এর মধ্যে আলম, হাসিনা মমতাজ, আসমা ও জজ মিয়ার অবস্থা আশংকাজনক। সাথী ও তাহমিনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।’