কর্ণফুলী লঞ্চের চাপায় দুই পা বিচ্ছিন্ন, বিচার চেয়ে মানববন্ধন
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৯:৩৪
ভোলা: ভোলায় কর্ণফুলী-৩ লঞ্চের চাপায় মো. হামিদুর রহমান স্বাধীন নামের ছয় বছর বয়সী এক শিশুর দুই পা বিচ্ছিন্ন হওয়ার ঘটনায় লঞ্চ কর্তৃপক্ষের বিচার ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। এসময় তারা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন।
রোববার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে ভোলা প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। মানববন্ধনে ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয়রা অংশ নেন। পরে তারা ভোলার জেলা প্রশাসক মো. তৌফিক-ই-লাহী চৌধুরীর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দেন।
এসময় শিশু মো. হামিদুর রহমান স্বাধীনের বাবা মো. হাসান আলী খান অভিযোগ করে বলেন, ‘গত ১৬ ডিসেম্বর ভোলার ইলিশাঘাট থেকে ঢাকাগামী লঞ্চ এমভি কর্ণফুলী-৩ লঞ্চে করে সপরিবারে বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জের উদ্দেশে রওনা দেয়। লঞ্চটি কালিগঞ্জ ঘাটের কাছে এলে লঞ্চের স্টাফ লঞ্চটি ঘাটে না বেঁধে যাত্রী নামায়। এসময় হাসান আলী সপরিবারে লঞ্চ থেকে নামার সময় লঞ্চটি সামনে চালালে তার ছোট ছেলে মো. হামিদুর রহমান স্বাধীন লঞ্চ ও পল্টুনের ফাঁকে দুই পা আটকে যায়। এতে তার শরীর থেকে দুই পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে লঞ্চটি সেখানে না দাঁড়িয়ে দ্রুত ঘাট ত্যাগ করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আহত হামিদুর রহমান স্বাধীনকে প্রথমে বরিশাল শেবাচিমে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে নেওয়া হয়। বর্তমানে শিশু স্বাধীন দুই পা হারিয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। আমরা এই ঘাতক লঞ্চ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও ক্ষতিপূরণ দাবি করছি।’
মানববন্ধনে উপস্থিত বক্তারা বলেন, ‘এর আগেও কর্ণফুলী লঞ্চের বেপরোয়া চলাচল ও অদক্ষ স্টাফদের কারণে ভোলার অনেকে পঙ্গু হয়েছে। লঞ্চ কর্তৃপক্ষের যথাযথ বিচার না হওয়ায় তারা দিন দিন আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। আমরা চাই এদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক।’
সারাবাংলা/এমও