বইমেলায় বৃষ্টির বাগড়া
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২০:১৩
বইমেলার ষষ্ঠ দিনে বাগড়া দিয়েছে বৃষ্টি। ফাল্গুন মাসের হঠাৎ বৃষ্টিতে এদিনের বইমেলা হারিয়েছে স্বাভাবিক চিত্র। দুপুরের দিকে পাঠক-দর্শকের ভিড় দেখা গেলেও বিকেল গড়াতেই বৃষ্টির ছোঁয়ায় বইমেলা এলোমেলো হয়ে পড়ে। ভোগান্তিতে পড়েন ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েই।
সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকাল-দুপুর রৌদ্রজ্জ্বল থাকলেও বিকেল গড়াতেই হঠাৎ বৃষ্টি নামে রাজধানীতে। শুরু হয় স্টলগুলো বাঁচানোর তীব্র প্রচেষ্টা। বৃষ্টির পানি থেকে বই বাঁচাতে ত্রিপল-পলিথিন দিয়ে ঢাকার প্রাণান্ত চেষ্টা করছিলেন বিক্রয়কর্মীরা। সন্ধ্যার পর বৃষ্টি কমে এলেও পাঠক-দর্শকদের উপস্থিতি আর বাড়েনি।
তাম্রলিপি প্রকাশনীর এক বিক্রয়কর্মী সারাবাংলাকে বলেন, বৃষ্টির ওপর তো আর কারও হাত নেই। এটা মেনে নিতেই হবে। সময়ের সঙ্গে আগাম প্রস্তুতিও নিয়ে রাখতে হবে। পলিথিন, ত্রিপল প্রস্তুত রাখতে হবে। জায়গায় জায়গায় পানি জমে যাচ্ছে। পাঠক যে জায়গাটায় দাঁড়াবেন, সে জায়গাতেও পানি জমে গেলে তো আর কিছু করার থাকে না। তারপরও আমরা পূর্বপ্রস্তুতি যতটুকু নেওয়া যায়, নিয়ে রেখেছি।
অন্যপ্রকাশের এক বিক্রয়কর্মী বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে ক্রেতা কমে গেছে। দুপুরে ক্রেতার চাপ ছিল যথেষ্ট। এখন একদম কমে গেছে।’ বৃষ্টি থামলে ক্রেতা বাড়বে বলে আশা করছিলেন তিনি। তবে শেষ পর্যন্ত ক্রেতাদের উপস্থিতি বাড়েনি।
হঠাৎ বৃষ্টিতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে বইমেলার বেশকিছু জায়গায় জমে যায় কাদাপানি। তাতে বেশ ভোগান্তিতে পড়েছেন পাঠক-দর্শকেরাও। বিশেষ করে বৃষ্টি চলাকালে একটু শুকনো জায়গায় দাঁড়ানোর জন্য অনেককেই ছোটাছুটি করতে দেখা গেছে।
বইমেলায় আগত বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া নাজনীন ফেরদৌস শিল্পী সারাবাংলাকে বলেন, এভাবে বৃষ্টি নামবে ভাবতেই পারিনি। কিন্তু, আসার পথেই বৃষ্টি নামল। ভোগান্তি তো হচ্ছেই একটু।
এদিকে, মেলার তথ্যকেন্দ্র থেকে পাওয়া তথ্য বলছে, গত পাঁচ দিনে মেলায় এসেছে নতুন ৩৬৩টি বই। এর মধ্যে প্রথম দিন কোনো নতুন বই না এলেও দ্বিতীয় দিনে ১৮টি, তৃতীয় দিনে ৬১টি, চতুর্থ দিনে ১৪১টি ও পঞ্চম দিনে নতুন বই এসেছে ১৪৩টি। প্রকাশকরা বলছেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই সংখ্যা আরও বাড়বে।
সারাবাংলা/আরআইআর/টিআর