রক্তরাঙা রাজপথ বুকে নিয়ে রাত জাগে শহিদ মিনার
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৮:০০
একুশে ফেব্রুয়ারি। বঙ্গাব্দে ৮ ফাল্গুন। বসন্তের আগমনীধ্বনি শোনানোর সময়। কৃষ্ণচূড়া-পলাশ-শিমুলের আগুন লাঙে রঙিন। আজ থেকে ৭০ বছর আগের এমনই একটি দিনে প্রকৃতির সেই আগুন লালের সঙ্গে মিশে গিয়েছিল কিছু তরুণের বুক থেকে বেরিয়ে আসা রক্তের লাল রঙ। সেই রক্তের বিনিময়েই যে মিলেছিল প্রাণের ভাষায়, মায়ের ভাষায় কথা বলার অধিকার।
হ্যাঁ, ১৯৫২ সালের এই দিনেই ভাষা অধিকারের দাবিতে শোষকগোষ্ঠীর জারি করা ১৪৪ ধারা ভেঙে রাজপথে নেমেছিল বাঙালি। আর সেই মিছিলে গুলি চালালে ঢাকার রাজপথে শহিদ হন সালাম, রফিক, বরকত, জব্বার। নিজেদের প্রাণ দিয়ে তারা জাতিকে আদায় করে দিয়েছিলেন রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবি।
কেবল ভাষা তো নয়, সেই ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমেই সূচনা বাঙালির একান্ত আপন রাজনৈতিক অধিকার বুঝে নেওয়ার সংগ্রামের। যে বাঙালি জাতিসত্তাকে ভিত্তি করে একাত্তরে ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীনতা, সেই জাতিসত্তারও উন্মেষ বলা যায় এই একুশে ফেব্রুয়ারিকেই।
তাই একুশে ফেব্রুয়ারি এলেই গোটা জাতি শ্রদ্ধাবনত হয়ে স্মরণ করে ভাষা শহিদদের। রাজধানী ঢাকা শুধু নয়, সারাদেশেই জেলা-উপজেলা ছাড়িয়ে ইউনিয়ন-ওয়ার্ড পর্যায়েও আপামর জনসাধারণ একুশের প্রথম প্রহর থেকেই জড়ো হন শহিদ মিনারে। স্থায়ী শহিদ মিনার যেখানে নেই, সেখানেও একুশে ফেব্রুয়ারি এলেই গড়ে ওঠে অস্থায়ী শহিদ মিনার। কখনো কলা গাছ, কখনো ইটের টুকরো, কখনো বাঁশ-বেত, এমনকি কাগজ দিয়ে হলেও যে শহিদ মিনার তৈরি করা চাই-ই চাই। স্থায়ী-অস্থায়ী সেসব শহিদ মিনার রাতভর জেগে থাকে ছোট-বড়, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সব মানুষের পদচারণায়। সেসব শহিদ মিনার রাতভর জেগে থাকে ভাষার দাবিতে যারা আত্মত্যাগ করেছেন, সেই বীর শহিদদের স্মৃতি বুকে নিয়ে।
প্রতি বছরের মতো এ বছরও রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশেই এমন হাজারও স্থায়ী-অস্থায়ী শহিদ মিনারে চলছে ভাষার অধিকার এনে দেওয়া সেই সূর্যসন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন। ঢাকায় একুশের প্রথম প্রহরে রাত ১২টা ১ মিনিটে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে তাদের সামরিক সচিবরা পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনের সূচনা করেন। জেলা শহরগুলোতেও রাত ১২টা ১ মিনিটেই শুরু হয়েছে ভাষা শহিদদের প্রতি এমন শ্রদ্ধা নিবেদন। বিভিন্ন জেলা থেকে সারাবাংলার ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্টদের পাঠানো একুশের প্রথম প্রহরের খবর—
নারায়ণগঞ্জ
গভীর শ্রদ্ধায় বায়ান্নর মহান ভাষা আন্দোলনের বীর শহিদদের স্মরণ করা হয়েছে নারায়ণগঞ্জে। একুশের প্রথম প্রহরে নগরীর চাষাড়ায় কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. মঞ্জুরুল হাফিজ, জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম। পরে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান একে একে শ্রদ্ধা জানায়।
কুষ্টিয়া
একুশের প্রথম প্রহরে যথাযথ মর্যাদায় ভাষা শহিদদের স্মরণ করা হয়েছে কুষ্টিয়ায়। রাত ১২টা ১ মিনিটে কুষ্টিয়ার কালেক্টর চত্বরে ভাষা শহিদদের স্মৃতিতে নির্মিত শহিদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা প্রশাসক সাইদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার খায়রুল আলম, কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষে সভাপতি সদর উদ্দিন খান ও সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী। পরে কুষ্টিয়া প্রেস ক্লাবের পক্ষে সভাপতি রাশেদুল ইসলাম বিপ্লবসহ বিভিন্ন সামাজিক-রাজনৈতিক সংগঠনের নেতারা শ্রদ্ধা জানান শহিদ মিনারে।
নরসিংদী
নরসিংদীতে শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে রাত ১২টা ১ মিনিটে প্রথম প্রহরে ফুল দিয়ে ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ। শহরের স্টেডিয়াম সংলগ্ন নরসিংদীর কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে প্রথমে ফুলের তোড়া দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা প্রশাসক আবু নইম মোহাম্মদ মারুফ খান, পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজিম ও সিভিল সার্জন নুরুল ইসলাম। এর পরপরই জেলা পরিষদ, আওয়ামী লীগ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক-সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয় ভাষার জন্য আত্মত্যাগী বীরদের চরণে।
এছাড়া নরসিংদীর বিভিন্ন উপজেলা ও পৌরসভার কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে ফুলের শুভেচ্ছা জানান সংশ্লিষ্ট উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, নির্বাহী কর্মকর্তাসহ হাজারও জনতা। প্রশাসন ছাড়াও অন্যান্য বিভাগ, বিভিন্ন স্কুল-কলেজ, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনতা ফুলের তোড়া দিয়ে শ্রদ্ধা জানান ভাষা শহিদদের প্রতি। এছাড়া দিনব্যাপী বিভিন্ন স্কুল-কলেজসহ সব সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে পালন করা হবে দিবসটি।
ময়মনসিংহ
বিভাগীয় শহর ময়মনসিংহে একুশের প্রথম প্রহরে রাত ১২টা ১ মিনিটে টাউন হল প্রাঙ্গণে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহম্মেদ এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য মনিরা সুলতানা। পরে একই শহিদ মিনারে একে একে শ্রদ্ধা জানান বিভাগীয় কমিশনার শফিকুর রেজা বিশ্বাস, রেঞ্জ ডিআইজি ব্যারিস্টার হারুন অর রশিদ, জেলা প্রশাসক এনামুল হক, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আহমার উজ্জামান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠান, সিটি করপোরেশনের পক্ষে প্রধান নির্বাহী আলী ইউসুফ।
এছাড়া ময়মনসিংহ প্রেস ক্লাব ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ রাজনৈতিক-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মী ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ শহিদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। বিশৃঙ্খলা এড়াতে শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন দিবসটিকে ঘিরে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে রক্তদান কর্মসূচি পালন করছে।
জয়পুরহাট
জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জয়পুরহাটে যথাযোগ্য মর্যাদায় শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন হচ্ছে। রাত ১২টা ১ মিনিটে একুশের প্রথম প্রহরে শহরের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান জেলা প্রশাসক শরীফুল ইসলাম, জেলা পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঞা, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান রকেট, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সোলায়মান আলী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরাফাত হোসেন, পৌর মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক।
এরপর, একে একে ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, জয়পুরহাট প্রেস ক্লাবসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনগণ।
নেত্রকোনা
তীব্র শীত উপেক্ষা করে নেত্রকোনা জেলা শহরের শহিদ মিনারে ভাষা আন্দোলনে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন সর্বস্তরের মানুষ। রাজনৈতিক, সামাজিক, ও সাংস্কৃতিক বিভিন্ন সংগঠনের নেতাসহ সাধারণ মানুষও শহিদ মিনারে হাজির হয়েছিলেন রঙ-বেরঙের ফুলের তোড়া নিয়ে।
প্রথম প্রহরে রাত ১২টা ১ মিনিটে শহিদ মিনারের বেদীতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু, জেলা প্রশাসক কাজি মো. আব্দুর রহমান ও পুলিশ সুপার আকবর আলি মুন্সি। এরপর আওয়ামী লীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাসহ প্রেস ক্লাব ও গণমাধ্যমগুলোর পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়। জেলা শহরের মতো একই আদলে উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়েও গ্রামে গ্রামে শহিদ মিনারে রাত থেকেই চলছে শ্রদ্ধার মিছিল। বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে অস্থায়ী শহিদ মিনার তৈরি করেও চলছে ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন।
চুয়াডাঙ্গা
নেপথ্যে ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো…’ গানের আবহে চুয়াডাঙ্গায় একুশের প্রথম প্রহর থেকেই শহিদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে শুরু করেছে সব স্তরের মানুষ। রাত ১২টা ১ মিনিটে ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান। এরপর পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম, পৌরসভার মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক খোকন ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আবু হাসানসহ চুয়াডাঙ্গা প্রেস ক্লাব, বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি চুয়াডাঙ্গা জেলা ইউনিট, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখা, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়।
বরিশাল
বিনম্র শ্রদ্ধা ও গভীর ভালোবাসায় নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বরিশালে পালিত হচ্ছে মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। একুশের প্রথম প্রহরে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ, বিভাগীয় কমিশনার মো. আমিন উল আহসান, মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান, রেঞ্জ ডিআইজি এস এম আকতারুজ্জামান, জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার, পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন।
এরপর পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন, র্যাব-৮, সিআইডি বরিশাল, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, বরিশাল জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, বরিশাল প্রেসক্লাব, বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা।
এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করে স্থানীয় প্রশাসন। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সব স্কুল-কলেজ, অফিস-আদালত, সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা, শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য বিষয়ক আলোচনা ও বাদ জোহর ভাষা শহিদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে দোয়ার আয়োজন।
মানিকগঞ্জ
নানা আয়োজনে মানিকগঞ্জে পালিত হচ্ছে শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। মানিকগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন জেলার সর্বস্তরের মানুষ।
এদিকে ভাষা শহিদ রফিক উদ্দিনের গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার রফিক নগরে নানা আয়োজনে পালিত হচ্ছে শহিদ দিবস। তার বাড়ির আঙিনায় স্থাপিত শহিদ মিনারে সকাল থেকেই মানুষের উপচে পড়া ভিড়। শহিদ রফিক নগরে ২১ ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে চারদিনব্যাপী নানা অনুষ্ঠান পালিত হবে বলে জানা গেছে।
কক্সবাজার
জেলায় পালতি হয়েছে মহান শহিদ ও আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস। দিনের প্রথম প্রহরে শহরের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করনে তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল ও সংসদ সদস্য কানজি ফাতমো আহমদে। এছাড়াও জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ,পুলশি সুপার মো. হাসানুজ্জামান, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষরে চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অবঃ) ফোরকান আহমদে, জেলা আওয়ামী লীগ ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকটে ফরদিুল ইসলাম চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক ও পৌর ময়ের মুজবিুর রহমান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদে চৌধুরী, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান কায়সারুল হক জুয়েলসহ বিভিন্ন সরকারি দফতর, সাংবাদিক, রাজনতৈকি, সাংস্কৃতকি সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
দিনাজপুর
দিনাজপুরের হিলি সীমান্তের শূন্য রেখায় করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারির কারণে সীমিত পরিসরে দুই বাংলার মানুষের অংশগ্রহণে শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে। সোমবার সাড়ে ১১টায় হিলি সীমান্তের চেকপোস্ট গেইটের ২৮৫নং মেইন পিলারের ১১নং সাব পিলার সংলগ্ন শূন্য রেখায় দিবসটি পালন করা হয়।
এ সময় সেখানে অস্থায়ী শহিদ বেদিতে দুই বাংলার বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এরপর সেখানে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন দুই বাংলার নেতারা।
এ সময় সেখানে বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন হাকিমপুর পৌরসভার মেয়র জামিল হোসেন চলন্ত,উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহিনুর রেজা শাহিন,সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার লিয়াকত আলী,উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহরাব হোসেন প্রতাব মল্লিক,সাপ্তাহিক আলোকিত সীমান্ত পত্রিকার সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম এবং ভারতের পক্ষে ছিলেন তিওড় উজ্জীবিন সোসাইটির সম্পাদক সূরুজ দাস, হিলি তুরা জয়েন্ট মুভমেন্ট কমিটির আহব্বায়ক নবকুমার দাস, হিলি গর্ভনমেন্ট কলেজের অধ্যক্ষ নারবু শেরপা ও নবদিগন্তের কর্ণধার অমিত সাহা।
নোয়াখালী
নোয়াখালীতে যথাযোগ্য মর্যাদায় অমর একুশে ফেব্রুয়ারি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে। সোমবার রাত ১২টা এক মিনিটে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করে জেলার প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র চৌমুহনীর কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সংসদ সদস্য মামুনুর রশিদ কিরন।
এদিকে নোয়াখালী শহরের মাইজদীর কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে একুশের প্রথম প্রহরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, জেলা আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনতা।
সারাবাংলা/টিআর
একুশে ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার ভাষা আন্দোলন ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা শহিদ মিনার