ইউক্রেন সংকট নিয়ে বৈঠক করতে রাজি বাইডেন-পুতিন
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১০:০৩
ইউক্রেন সংকট নিয়ে আলোচনা করতে নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। মস্কো যেন ইউক্রেন আক্রমণ না করে এ বিষয়েই আলোচনা হবে। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর কার্যালয় এ তথ্য জানিয়েছে। খবর আলজাজিরা।
সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের বাসভবন এলিসি প্যালেস থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানান হয়েছে। তাতে বলা হয়, ম্যাক্রোঁ ‘ইউরোপে নিরাপত্তা এবং কৌশলগত স্থিতিশীলতা’ সংক্রান্ত একটি শীর্ষ সম্মেলনে উভয় নেতাকে এ বিষয়ে রাজি করিয়েছেন।
ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘এই শীর্ষ সম্মেলনের নীতি গ্রহণ করেছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও পুতিন।’ তবে রাশিয়া যদি আগেই ইউক্রেনে আক্রমণ করে তাহলে এই বৈঠক সম্ভব হবে না। কারণ ইউরোপের দেশগুলো অভিযোগ করছে ইউক্রেনে আক্রমণ করতে পারে রাশিয়া।
আরও পড়ুন: ‘ইউরোপের সঙ্গে বড় ধরনের যুদ্ধের পরিকল্পনা করেছে রাশিয়া’
পরে মার্কিন প্রেসিডেন্টের কার্যলয় হোয়াইট হাউজও এ বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। বাইডেনের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র আক্রমণ শুরু না হওয়া পর্যন্ত কূটনৈতিক পথ অনুসরণ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
এর আগে যুক্তরাষ্ট্র দাবি করে, ইউক্রেন সীমান্তের কাছে ১ লাখ ৬৯ হাজার থেকে ১ লাখ ৯০ হাজার সৈন্য সমাবেশ ঘটিয়েছে মস্কো, যাদের মধ্যে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের স্বঘোষিত প্রজাতন্ত্র দোনেস্ক ও লুহানস্ক রুশ সমর্থিক যোদ্ধারাও আছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আর কখনো এত বেশি সৈন্য সমাবেশ ঘটায়নি রাশিয়া।
আরও পড়ুন: জেট বিমানে পূর্ণ ইউক্রেন সীমান্তের নিকটবর্তী রুশ ঘাঁটি
প্রতিবেশী রাষ্ট্রকে আক্রামণ করার কথা অস্বীকার করেছে রাশিয়া। তবে ইউক্রেন যে কখনই ন্যাটোতে যোগদান করবে না তার গ্যারান্টি চায় মস্কো। পাশাপাশি পূর্ব ইউরোপ থেকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা জোটের সেনাবাহিনী অপসারণ করারও দাবি করা হয়েছে। তবে সেই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে পশ্চিমা দেশগুলো।
এর আগে ২০১৪ সালে ইউক্রেনের ক্রিমিয়া অঞ্চল নিজেদের দখল নেয় রাশিয়া। এ কাজে রুশপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ব্যবহার করে মস্কো।
সারাবাংলা/এনএস