ভাষা আন্দোলনের চেতনা বাস্তবায়নে গণঅভ্যুত্থানের প্রত্যয় ফখরুলের
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১০:৪২
ঢাকা: ভাষা আন্দোলনের চেতনা বাস্তবায়নে দেশে গণঅভ্যুত্থান গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের কাছে বিএনপি মহাসচিব এই প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, ভয়াবহ একটা ফ্যাসিজম চলছে। এটাকে সরানো জন্য, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার জন্য, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে ভাষা আন্দোলনের চেতনাকে সঙ্গে নিয়ে একটি গণঅভ্যুত্থান সৃষ্টি করব। তার মধ্যদিয়ে সত্যিকার অর্থে আমরা একুশের চেতনাকে বাস্তবায়িত করব।
সকাল সাড়ে ৮টায় বিএনপি মহাসচিব দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে বেদীতে এসে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন। বুকে কালোব্যাজ ও পতাকা হাতে দলটির হাজারো নেতাকর্মী শহিদ মিনারে আসেন। এ সময় আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, রুহুল কবির রিজভী, খায়রুল কবির খোকন, শ্যামা ওবায়েদ, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীসহ কেন্দ্রীয় ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ভোর ছয়টায় বলাকা সিনেমা হলের কাছে বিএনপির নেতাকর্মীরা সমবেত হয়ে প্রভাতফেরী সহকারে প্রথমে আজীমপুরে কবরস্থানে ভাষা শহিদদের কবর জিয়ারত করেন এবং তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করেন। সেখানে থেকে নেতৃবৃন্দ প্রভাতফেরী করে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে আসেন।
ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে মির্জা ফখরুল বলেন, জব্বার, সালাম, বরকতসহ অনেকে সেদিন রাজপথে বাংলা ভাষার জন্য আত্মত্যাগ করেছিলেন। এরই ফলোশ্রুতিতে পাকিস্তান বাংলাকে রাষ্ট্র ভাষার স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হয়েছিল। ভাষার জন্য আত্মবিসর্জন দেওয়ার এমন নজির আর খুঁজে পাওয়া যায় না।
তিনি বলেন, ৭০ বছর আগে এই ভাষা আন্দোলনের যে মূল চেতনা ছিল আমাদের স্বাধীকারের চেতনা, সেই চেতনা ছিল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার চেতনা, সেই চেতনা ছিল একটি মুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা, আমরা সবাই সকলে কথা বলতে পারব, আমরা আমাদের স্বাধীন চিন্তাগুলো প্রকাশ করতে পারব, আমাদের বাক-স্বাধীনতা থাকবে, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা থাকবে। সবচেয়ে বড় ইচ্ছাটি ছিল মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে।
ফখরুল বলেন, ১৯৭১ সালে সেই চেতনায় আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছি। জিয়াউর রহমানের ঘোষণার মধ্যদিয়ে এই জাতি ঝাঁপিয়ে পড়েছিল যুদ্ধে। পরবর্তীকালে আমরা দেখেছি, শহিদ জিয়াউর রহমান প্রথম একুশে পদক প্রবর্তন করেন। তারপর থেকে একুশে পদক শুরু হয়েছে।
তিনি বলেন, দুর্ভাগ্য আমাদের, এমন একটি সরকার আমাদের ওপরে চেপে বসে আছে, যারা জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা দমন করছে এবং একুশের যে চেতনা সেই চেতনাকে তারা ভুলণ্ঠিত করে দিয়েছে। আজকে জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে, বাক-স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে এবং এই দেশের অর্থনীতিকে পুরোপুরিভাবে ভেঙে ফেলা হয়েছে এবং বাংলা ভাষা এখনো সর্বস্তরে প্রচলিত হয়নি।
সারাবাংলা/এজেড/এএম