পোশাক শিল্পের কাঁচামাল রফতানি করতে চায় অস্ট্রেলিয়া
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১১:১৯
ঢাকা: বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের প্রয়োজনীয় কাঁচামাল হিসেবে পশম রফতানি করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে অস্ট্রেলিয়া। দেশটি বলছে, তাদের দেশে উৎপাদিত পশম বাংলাদেশের পোশাক খাতে পণ্য উৎপাদনে ভালো ভূমিকা রাখতে পারবে।
জার্মানির মিউনিখে অনুষ্ঠিত নিরাপত্তা সম্মেলনে অনুষ্ঠিত দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে গতকাল রোববার (২০ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের কাছে এ আগ্রহ প্রকাশ করেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেরিস পেইন। সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
এই বৈঠকের প্রায় পুরোটা জুড়েই গতবছরে স্বাক্ষর করা ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ফ্রেমওয়ার্ক অ্যারেঞ্জমেন্টের (টিফা) মাধ্যমে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা আরও বাড়ানোর জন্য আলোচনা করে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়া। দেশ দুটির আমদানি-রফতানিতে আরও বৈচিত্র্য আনার সুযোগ রয়েছে বলেও মত দেন দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ড. মোমেন দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের আকার বাড়ানোর জন্য নতুন নতুন পথ খুঁজে বের করার আহ্বান জানান। দুই মন্ত্রী বাংলাদেশ থেকে ওষুধ রফতানিকে কেন্দ্র করে একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলের সফর আয়োজনের সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা করেন। এছাড়াও গ্যাস অনুসন্ধান এবং নবায়নযোগ্য শক্তি উভয় ক্ষেত্রেই সহযোগিতার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছেন।
এছাড়াও অস্ট্রেলিয়াকে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে কর্মসংস্থান বৃদ্ধির জন্য দক্ষতা প্রশিক্ষণ প্রদানের অনুরোধ জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন। দেশটিতে বসবাসরত বাংলাদেশি প্রবাসীদের সুবিধার্থে দুই দেশের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট চালুর বিষয়েও কথা বলেন তিনি। তারা ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের সকলের সমৃদ্ধি ও নিরাপত্তার জন্য নৌ চলাচলের স্বাধীনতার বিষয়েও গুরুত্বপূর্ণ মতামত প্রকাশ করেন।
বৈঠকে রোহিঙ্গাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে পুনর্বাসন করার পক্ষেও গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন ড. মোমেন ও মেরিস পেইন। রোহিঙ্গা মানবিক সংকটের টেকসই সমাধান খোঁজার জন্য অস্ট্রেলিয়াকে কাজ চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানায় বাংলাদেশ। অস্ট্রেলিয়া জানায়, তারা এই সমস্যা সমাধানে দৃঢ় অঙ্গীকারবদ্ধ।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এই বৈঠকে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন দেশ দুটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
সারাবাংলা/টিএস/এনএস