নেতার মাথা ফাটিয়ে ফের আলোচনায় ছাত্রলীগ নেত্রী নিশি
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৭:২১
ঢাবি: আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে ফুল দিতে গিয়ে ছাত্রলীগ নেত্রী বেনজীর হোসেন নিশি’র বিরুদ্ধে এক ছাত্রলীগ নেতাকে মারধর করে রক্তাক্ত করার অভিযোগ উঠেছে। এই ধরনের অন্য একটি অভিযোগে চলমান একটি মামলার আসামি নিশি।
সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে এই ঘটনা ঘটে।
অভিযোগকারী ছাত্রলীগ নেতা এহসানুল হক ইয়াসির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাবেক ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক। অভিযুক্ত নিশি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক।
অভিযোগকারী এহসানুল হক ইয়াসির সাংবাদিকদের বলেন, ‘শহীদ মিনারে আমরা মহানগর দক্ষিণ শাখা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে ফুল দিতে যাই। সেখানে যাওয়ার সময় আমাদের পেছনে ধাক্কাধাক্কি হয়। এসময় হঠাৎ করে বেনজীর হোসেন নিশি এসে তার মোবাইল দিয়ে আমার মাথায় এলোপাতাড়ি আঘাত করতে থাকেন। এতে মাথা ফেটে রক্ত বের হয়। তাৎক্ষণিকভাবে সঙ্গে থাকা পরিচিতরা আমাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যায়। সেখানে দেওয়া হয় চিকিৎসা। তিন-চারটি সেলাই লেগেছে আমার।’
তবে ঘটনার সঙ্গে নিজের কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে দাবি করেছেন বেনজির হোসেন নিশি। ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক পদে থাকা এই নেত্রী সারাবাংলাকে বলেন, ‘যে ঘটনার কথা বলা হচ্ছে, সে সময় আমি ছিলামই না। কেন আমার নাম বলা হচ্ছে, সেটা আমি বলতে পারি না। তবে আমি শুনেছি, বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী শিক্ষার্থীকে সে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেছিলো। তাই তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেপেলেই মার দিয়েছে। নিশ্চয় সে এমন কিছু করেছে যার জন্য তাকে মার দেওয়া হয়েছে।’
এ বিষয়ে জানতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যকে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তাদের সাড়া পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, ছাত্রলীগ নেত্রী বেনজির হোসেন নিশির বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ নতুন নয়। এর আগে ২০২০ সালের ২০ ডিসেম্বর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদ প্রাঙ্গণে ফাল্গুনী দাস তন্বী নামে এক ছাত্রলীগ নেত্রীকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছিলো বেনজীর হোসেন নিশির বিরুদ্ধে। এ অভিযোগ মামলা পর্যন্ত গড়িয়েছিলো।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে আদালত এই ছাত্রলীগ নেত্রীসহ তার পাঁচ সহযোগীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। পরে তারা আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে তা মঞ্জুর হয়। সেই মামলা এখনও চলমান।
সারাবাংলা/আরআইআর/এমও