তাহিরপুরে ২ পক্ষের সংঘর্ষ ঠেকাতে পুলিশের গুলি, আহত ২০
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২২:৩৭
সুনামগঞ্জ: সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে সাংবাদিকের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ থামাতে পুলিশের সাত রাউন্ড গুলি নিক্ষেপ করেছে। এতে ১৩ জন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ছয় জন পুলিশ সদস্যও।
মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় তাহিরপুর উপজেলা সদরের পূর্ব বাজারে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের ঘটনাস্থল থেকে কামরুল ইসলাম, বদরুজ্জামান, আসাদ মিয়া ও সৈয়দ গোলাম হোসেন নামে চার জনকে আটক করেছে পুলিশ। উপজেলা সদরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
গুলিবিদ্ধ আহতরা হলেন— ডালিয়া নার্গিস সুমি (৫০), বাবলী চৌধুরী (৩৫), আনজু মিয়া (৩০), অনিক মিয়া (২৫), অংকন গণি (১২), নেজারুল ইসলাম (৩০), মাসুম মিয়া (২২), রুমেন মিয়া (৩০), রুনা বেগম (৪৫), তানসেন তালুকদার তুষার (৩০), রাসেল মিয়া (৩০), পারভিন আক্তার (৪৫) ও এমদাদুল মিয়া (৩৫)। এর মধ্যে ডালিয়া নার্গিস সুমি, বাবলী চৌধুরী, আনজু মিয়া, অনিক মিয়া ও অংকন গণিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহত অন্যরা তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তাহিরপুর উপজেলার সাংবাদিক রাজন চন্দ ও উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক হাফিজ উদ্দিনের সমর্থকদের মধ্যে গত কয়েকদিন ধরে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাজন চন্দের বাবা স্থানীয় জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক রমেন্দ্র নারায়ণ বৈশাখের ওপর হাফিজ উদ্দিনের সমর্থকরা হামলা করায় দুই পক্ষের মধ্যে এমন উত্তেজনা দেখা দেয়। এর মধ্যেই মঙ্গলবার বিকালে রমেন্দ্র নারায়ণ বৈশাখের ওপর হামলার ঘটনায় মানববন্ধন করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মানববন্ধনের পর সাংবাদিক রোকন উদ্দিনের ভাতিজা ছাত্রলীগ নেতা তানসেন তালুকদার তুষারকে রাস্তায় পেয়ে মারধর করেন যুবলীগ নেতা হাফিজ উদ্দিনের ভাতিজা আবুল বাশার। এ নিয়ে উপজেলা সদরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় কমপক্ষে ২০ জন আহত হন। পুলিশ সংঘর্ষ থামাতে রাবার বুলেট ছুঁড়লে ১৩ জন গুলিবিদ্ধ হন।
তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মির্জা রিয়াদ জানান, ছয় পুলিশসহ আহত ১৯ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। ১৩ জন গুলিবিদ্ধ ছিলেন। চার জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেটে স্থানান্তর করা হয়েছে।
তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ তরফদার জানান, দুই পক্ষের সংঘর্ষ ঠেকাতে সাত রাউন্ড গুলি ছুড়েছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে কামরুল ইসলাম, বদরুজ্জামান, আসাদ মিয়া ও সৈয়দ গোলাম হোসেন নামে চার জনকে আটক করা হয়েছে। পুলিশ সদস্যসহ কয়েকজন আহত হয়েছেন। উপজেলা সদরে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
সারাবাংলা/টিআর