ডিআইজি মিজান ও দুদক বাছিরের মামলার রায় আজ
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৯:০৫
ঢাকা: পুলিশ বাহিনী থেকে সাময়িক বরখাস্ত ডিআইজি মিজানুর রহমান ও দুদক থেকে সাময়িক বরখাস্ত পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরের ৪০ লাখ টাকা ঘুষ লেনদেনের অভিযোগের মামলার রায় ঘোষণার জন্য বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দিন ধার্য রয়েছে।
বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলমের আদালত এই রায় ঘোষণা করবেন। গত ১০ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য এই তারিখ ধার্য করেন।
আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণে সক্ষম হয়েছে মর্মে রায়ে আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা প্রত্যাশা করছে দুদক। আর আসামিপক্ষ বলছে, দুদক অভিযোগ প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছে। কাজেই তারা খালাস পাবেন।
গত ২৩ ডিসেম্বর মামলাটিতে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। মামলায় চার্জশিটভূক্ত ১৭ সাক্ষির মধ্যে ১২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।
এরপর গত ৩ জানুয়ারি আত্মপক্ষ শুনানিতে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন মিজানুর রহমান এবং এনামুল বাছির। ওইদিন তারা লিখিত বক্তব্য জমা দেবেন বলে আদালতকে জানান। এজন্য তারা সময়ও চান। আদালত ১২ জানুয়ারি আসামিদের লিখিত বক্তব্য জমা দেওয়ার তারিখ ধার্য করেন। ওইদিন ডিআইজি মিজান ৬ পৃষ্ঠা এবং এনামুল বাছির ১২ পৃষ্ঠার লিখিত বক্তব্য আদালতে জমা দেন।
৪০ লাখ টাকার ঘুষ কেলেঙ্কারির অভিযোগে ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ দুদকের পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্লাহ বাদী হয়ে মামলা করেছিলেন। ২০২০ সালের ১৯ জানুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন শেখ মো. ফানাফিল্লাহ।
গত বছর ৯ ফেব্রুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেন ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশ। এরপর তিনি মামলাটি বিশেষ জজ আদালত-৪ এ বদলির আদেশ দেন। গত বছর ১৮ মার্চ আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
২০১৯ সালের ১৬ জুলাই ডিআইজি মিজান ও বাছিরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যা। ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ পাওয়ার পর দুই প্রতিষ্ঠান থেকেই ডিআইজি মিজান ও এনামুল বাছিরকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন পুলিশের বিতর্কিত এই কর্মকর্তা। ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের ঘটনা তদন্ত করছিলেন এনামুল বাছির। মিজান এ সম্পর্কিত অডিও রেকর্ড বেসরকারি একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে সরবরাহ করেন। এরপরই দুদক তিন সদস্যের উচ্চপর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করে। সেই কমিটির তদন্তের ভিত্তিতে কমিশন খন্দকার এনামুল বাছিরকে সাময়িক বরখাস্ত করে। পরে দুদকের পরিচালক মঞ্জুর মোরশেদকে নতুন অনুসন্ধান কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
সারাবাংলা/এআই/এএম