ব্লগার নাজিম হত্যা: মেজর জিয়াসহ ৫ জনের সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ

ঢাকা: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র ব্লগার নাজিমুদ্দিন সামাদ হত্যা মামলায় আনসার আল ইসলামের সামরিক শাখার প্রধান চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক জিয়াসহ পলাতক ৫ আসামির সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমানের আদালত এ আদেশ দেন। আগামী ৩০ মার্চ এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ধার্য করেন আদালত।

এদিন ৫ আসামির গ্রফতার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ধার্য ছিল। আসামিদের গ্রেফতার করা যায়নি মর্মে পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর আদালত আসামিদের সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দেন।

অপ চার আসামি হলেন আকরাম হোসেন, মো. ওয়ালিউল্লাহ ওরফে ওলি ওরফে তাহেব ওরফে তাহসিন, সাব্বিরুল হক চৌধুরী ওরফে আকাশ ওরফে কনিক ও মাওলানা জুনেদ আহাম্মেদ ওরফে সাব্বির ওরফে জুনায়েদ ওরফে তাহের।সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী পারভেজ ভূঁইয়া এ তথ্য জানান।

গত ১৭ জানুয়ারি মেজর জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্র আমলে গ্রহণ করেন আদালত। ৫ আসামি পলাতক থাকায় আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৬ এপ্রিল রাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস শেষে পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়ায় মেসে ফেরার পথে লক্ষ্মীবাজারের একরামপুর মোড়ে জঙ্গিরা কুপিয়ে এবং গুলি করে হত্যা করেন ব্লগার নাজিমুদ্দিনকে। এ ঘটনায় পরদিন সূত্রাপুর থানার এসআই মো. নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট বহিষ্কৃত মেজর সৈয়দ মো. জিয়াউল হক জিয়াসহ ৯ জনকে অভিযুক্ত করে ২০২০ সালের ২০ আগস্ট আদালতে চার্জশিট দাখিল করে ।

মামলার অপর চার আসামি রশিদুন নবী ভূইয়া ওরফে টিপু ওরফে রাসেল ওরফে রফিক ওরফে রায়হান, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন, মো. আরাফাত রহমান ও মো. শেখ আব্দুল্লাহ কারাগারে রয়েছেন বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।

সারাবাংলা/এআই/একে

নাজিমুদ্দিন সামাদ ব্লগার ব্লগার হত্যা