ব্যাংকারদের বেতন নির্ধারণে রুল শুনানি পিছিয়ে ২ মার্চ নির্ধারণ
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২৩:১৩
ঢাকা: ব্যাংক-কোম্পানির এন্ট্রি লেভেলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ন্যূনতম বেতন ভাতা নির্ধারণ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের দেওয়া বিজ্ঞপ্তি কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে জারি করা রুলের শুনানি পিছিয়ে আগামী ২ মার্চ নতুন দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট। বাংলাদেশ ব্যাংকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এই দিন নির্ধারণ করেন।
বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই দিন ঠিক করে দেন।
আজ বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে দুই সপ্তাহের সময় চেয়ে আবেদন করা হয়। পরে আদালত এক সপ্তাহের সময় আবেদন মঞ্জুর করেন।
আদালতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ফিদা এম কামাল। রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ এম মাসুম ও সাইফুর রহমান রাহী, সৈয়দ মাহসিব হোসাইন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
এর আগে, গত ৭ ফেব্রুয়ারি ব্যাংক-কোম্পানির এন্ট্রি লেভেলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ন্যূনতম বেতন ভাতা নির্ধারণের করে বাংলাদেশ ব্যাংকের জারি করা পরিপত্র কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। এক সপ্তাহের মধ্যে অর্থসচিব ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছিল।
ফরহাদ বিন হোসেন নামে এক বিনিয়োগকারীর দায়ের করা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আদালত এই রুল জারি করেন।
ওইদিন এই বিষয়ে আদালতকে সহায়তার জন্য চারজন অ্যামিকাস কিউরি (আদালতের বন্ধু)) নিয়োগ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।
এ বিষয়ে মতামত দেওয়ার জন্য চার অ্যামিকাস কিউরি হলেন—জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন, আজমালুল হোসেন কিউসি, রোকন উদ্দিন মাহমুদ ও প্রবীর নিয়োগী।
আদালতের আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ এম মাসুম ও সাইফুর রহমান রাহী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
গত ২০ জানুয়ারি একটি পরিপত্র জারি করে দেশের সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সেখানে ব্যাংক-কোম্পানির এন্ট্রি লেভেলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ন্যূনতম বেতন ভাতা নির্ধারণ করে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন নির্ধারিত বেতন চলতি বছরের ১ মার্চ থেকে কার্যকর করতে বলা হয়। পরে ১ ফেব্রুয়ারি সংশোধন করে আরও একটি পরিপত্র জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
পরে আইনজীবী সাইফুর রহমান রাহী জানিয়েছিলেন, গত ২০ জানুয়ারি এবং পরবর্তীতে সংশোধন করে ১ ফেব্রুয়ারি জারি করা বাংলাদেশ ব্যাংকের দেওয়া সার্কুলার চ্যালেঞ্জ করে গত ৩ ফেব্রুয়ারি রিট দায়ের করা হয়। ৭ ফেব্রুয়ারি এ বিষয়ে শুনানি নিয়ে ওই সার্কুলার কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি এ বিষয়ে মতামত নেওয়ার জন্য চারজন অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগ দিয়েছেন আদালত।
সারাবাংলা/কেআইএফ/একে